রাজ্যে ফের হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ। এবার জেল হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এজন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন তিনি। সঙ্গে CBI তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দুবাবু।
আরও পড়ুন - তিনিই রেলের বিরুদ্ধে পুলিশে FIR করেছেন, জানেনই না কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী
পড়তে থাকুন - দায়িত্ব বাড়ল শংকর ঘোষের, রইলেন না শুধু বিধায়ক
শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘মমতা পুলিশের নির্মমতায় রাজ্যে ফের হেফাজতে মৃত্যু। মৃতের নাম সঞ্জয় বেরা (৪২)। বাড়ি পুরুষোত্তম নগর, ডেবরা, পশ্চিম মেদিনীপুর। গত ৪ জুন তৃণমূল – বিজেপি সংঘর্ষের পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আদালত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। এর পর তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ছুটি হলে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর জেলে। ১১ জুন তাঁকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেখানে মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথায় চোট লেগেছিল বলে দাবি করে পুলিশ পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’
এর পর শুভেন্দুবাবু লেখেন, ‘ আমি এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত অথবা বিচারবিভাগীয় দাবি করছি। রাজ্য সরকার যদি আইন বহির্ভূতভাবে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে তাহলে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়বে। এতে আইনরক্ষকদের ওপর জনগণের অনাস্থা তৈরি হবে। যার ফলে আস্তে আস্তে আমরা অরাজকতার দিকে এগিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন - কোচবিহারে BJP কর্মীকে ২০ জন মিলে ধর্ষণ করেছে, FIR নিচ্ছে না পুলিশ: বিপ্লব দেব
বলে রাখি, মঙ্গলবারই আদালতে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার রিপোর্ট পেশ করেছে রাজ্য সরকার। তাতে জানানো হয়েছে ৬ – ১২ জুন পর্যন্ত ১ সপ্তাহে পুলিশের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত ৫৬০টি FIR দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে ১৩৮টি FIRএর অভিযোগ ধর্তব্যযোগ্য। সেগুলির তদন্ত করছে পুলিশ। ওদিকে বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অভিযোগই গ্রহণ করছে না পুলিশ। কোচবিহারে এক বিজেপি সমর্থককে ২০ জন মিলে ধর্ষণ করেছে। সেই অভিযোগও পুলিশ গ্রহণ করেনি। মঙ্গলবার আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পর এই দাবি করেন উত্তর ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির জয়ী বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব দেব।