ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের আতঙ্ক কাটিয়ে ক্রমেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সেই বগটুই গ্রাম। ঘটনার পর যারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন তারা এখন বাড়িতে ফিরছেন। বগটুই এবং আশেপাশের গ্রামের স্কুল পড়ুয়ারা এখন পোড়াবাড়ির পাশ দিয়েই সাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছে। ৫ দিন আগেকার ঘটনার আতঙ্ক যে অনেকটাই কেটেছে তা মেনে নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরেই গ্রামে বসেছে পুলিশি পাহারা। তারপর থেকেই কিছুটা হলেও আতঙ্ক কেটেছে গ্রামবাসীদের। এমনটাই জানালেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
মঙ্গলবার রাতে যে বাড়িতে আগুন লেগেছিল তার উল্টোদিকে বাড়ি রয়েছে কুমকুম বিবির। তার কথায়, ‘ঘটনার সময় আমি ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতরেই ছিলাম। পরের দিন সকালে উঠেই আমি আত্মীয়ের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম।’ গ্রামে পুলিশি পাহারার কথা শুনে শুক্রবার তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তবে অবশ্য রাতের বেলায় তিনি বাড়িতে থাকছেন না। একইভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেওয়ার পরে ঘরে ফিরেছেন পোড়াবাড়ির পিছনের দিকে অবস্থিত বাড়ির কর্তা পেশায় রাজমিস্ত্রি মিঠু সেখ। তিনি জানান, ‘ঘটনার পর থেকেই স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে অন্য পাড়ায় ছিলাম। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসের পর এখন আবার ফিরে এসেছি।’
প্রসঙ্গত, বগটুই গ্রামের প্রাথমিক স্কুল এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে রামপুরহাট শহরের স্কুলে যেতে গেলে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যেতে হয় ওই গ্রামের এবং আশেপাশের গ্রামের পড়ুয়াদের। ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন আতঙ্কে তারা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন তারা আবার ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছে। ওদিকে গ্রামের দুটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মঙ্গলবার থেকে বন্ধ ছিল। তার মধ্যে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র শুক্রবারে খুলে গিয়েছে। তবে রাতের অন্ধকার নেমে আসলে এখনও আতঙ্ক হয় বলেই জানালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাদের আশা দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।