এলাকা দখল ঘিরে আবারও শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)’র কর্মীরা। তৃণমূল—আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে, উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ বিধানসভার হাড়োয়া। অভিযোগ উঠেছে, এলাকা দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে মহিলা, শিশু—সহ মোট ১১ জন জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত ওই ৩ জনকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
রবিবার রাতে হাড়োয়া ব্লকের বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরা গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রাতের ঘটনা হলেও সারারাত দফায় দফায় হাড়োয়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আইএসএফ কর্মী—সমর্থকরা।
তাঁদের অভিযোগ, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ দলের কর্মীরা নামাজ শেষ করে যখন বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হয়। এমনকী, বিশেষভাবে সক্ষম শিশু ও মহিলাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করে নগদ টাকাও লুঠ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আইএসএফ কর্মীদের। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁদের আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গুরুতর আহত ওই ৩ জনকে রাতেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারপর তাঁদের আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ওই ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আইএসএফের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তাদের কর্মীদের ওপর আচমকাই চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। আইএসএফ কর্মীদের আরও অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র, দা, কোদালের বাঁট দিয়ে তাঁদের ওপর আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। দোষীদের গ্ৰেফতারের দাবিতে সারারাত হাড়োয়া থানা ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। অবশ্য তৃণমূলের তরফ থেকে এই হামলার অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। দু’পক্ষের তরফেই হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইএসএফের পক্ষ থেকে হাড়োয়া থানায় মোট ১৪ জনের নামে হামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবেস্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। পারিবারিক কোনও বিবাদ হলেও তৃণমূলের নাম জড়িয়ে দিচ্ছে আইএসএফ।