শালিমারে শিশুপাচার চক্রে আগেই বিহার যোগের কথা জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। এবার তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন বিহারের প্রত্যন্ত এলাকায় গজিয়ে ওঠা একাধিক বেআইনি নার্সিংহোমের সঙ্গে যোগ ছিল ধৃতদের। এক একটি শিশু বিক্রি হত ৩ থেকে ১২ লক্ষ টাকায়। যে টাকায় কয়েক বছরের মধ্যে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল পেশায় এসির মিস্ত্রি মানিক হালদার।
আরও পড়ুন - কালো কাঁচ ঢাকা গাড়িতে আদালতে সঞ্জয়, রাস্তায় গ্রিন করিডর, মুখ খুলতেই নয়া ব্যবস্থা?
পড়তে থাকুন - সব ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে,বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন প্রতিবাদ সভায় বললেন শুভেন্দু
গত ১০ নভেম্বর শালিমার স্টেশন থেকে শিশু বিক্রির সময় হাতেনাতে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মানিক হালদার ও মুকুল সরকার নামে ওই ২ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানতে পেরেছেন প্রায় ৩ বছর ধরে চলছিল শিশু পাচারের কারবার। ৩ বছরে প্রায় ৫০টি শিশু বিক্রি করেছে তারা।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, পাচারের কারবার চালানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেজ খুলেছিল অভিযুক্তরা। সেখানে কেউ শিশু নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে তার কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করত অভিযুক্তরা। একটি শিশুর জন্য ৩ – ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হত। পুরুষ শিশু হলে দর উঠত বেশি।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, দরদাম হওয়ার পর অর্ধেক টাকা আগাম দিতে হত মানিককে। মানিকের সঙ্গে বিহারের প্রত্যন্ত এলাকার বহু বেআইনি নার্সিংহোমের যোগ ছিল। হাতে টাকা পেলে টাকা নিয়ে বিহারে চলে যেত সে। সেখানে টাকা দিয়ে শিশুকে নিয়ে চলে আসত এরাজ্যে। তার পর শিশুকে হস্তান্তর করার সময় মেটাতে হত বাকি অর্ধেক টাকা।
আরও পড়ুন - আধারে বিশ্বাস নেই মমতার,সেই আধারে ভরসা করেই ট্যাব প্রতারণা রোখার চেষ্টা নবান্নের
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এই কারবার করে গত কয়েক বছরে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন পেশায় এসি মেকানিক মানিক। সে কোথায় কোথায় শিশু বিক্রি করেছে তার তালিকা তৈরি করছেন তদন্তকারীরা। যে নার্সিংহোমগুলি থেকে মানিক শিশু আনত সেগুলিতে চিহ্নিত করতে ইতিমধ্যে তাকে নিয়ে বিহারে রওনা হয়েছে পুলিশ।