সন্দেশখালিতে শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য মোটা টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। এমনই দাবি করেছেন সন্দেশখালির এক নির্যাতিতা। তৃণমূল নেতাদের নির্যাতনের মুখে পড়লেও তিনি যে ধর্ষণের শিকার নন, তাও মেনে নিয়েছেন তিনি। বুধবার এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই দাবি করেছেন নির্যাতিতা।
আরও পড়ুন: গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
পড়তে থাকুন: 'TMC-তে ভোট দিচ্ছে, বিজেতিতে যাচ্ছে,' চতুর্থ দফা মিটতেই ইভিএম নিয়ে অভিযোগ মমতার
সন্দেশখালির অভিযোগকারিনী ওই নির্যাতিতা বলেন, ‘সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের বয়ান বদল করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আমারেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি হইনি। নির্যাতনের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতারা চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি ন্যায়ের পথে থাকব। টাকা দিয়ে সবাইকে কেনা যায় না। টাকা তো কাল শেষ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতারা রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্যাতিতাদের হুমকি দিচ্ছেন। অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে ফল ভালো হবে না বলে হুমকি দিচ্ছে তারা।’
তিনি বলেন, ‘পিঠে বানানোর জন্য আমাকেও শিবু হাজরার লোকেরা ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। বলত ভাই খাবে। না গেলে হুমকি দিত। সারা রাত ধরে পিঠে বানিয়েছি। রাত ২টোর সময় ডেকে নিয়ে যেত। ওদের মনোরঞ্জন করতে হত। শিবু হাজরা কু ইঙ্গিত করত। একবার ৫০০ লোকের পিঠে বানিয়েছিলাম। তৃণমূলের নেতারা নৌকায় করে পার্টি করতে যেত। আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যেত। ধামাখালি, দাউদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ওদের সঙ্গে গিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘বাড়ির বউকে কেউ রাত ২টোর সময় ডাকে? শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এত লোক মিথ্যা কথা বলছে?’
এমনকী বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে যে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করানোর অভিযোগ উঠেছে তাও মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি। ওই নির্যাতিতা বলেন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায় পুলিশের সামনে। সেখানে সাদা কাগজে সই করানোর প্রশ্ন ওঠে না।
আরও পড়ুন: একই কেন্দ্রে বিজেপির ২ প্রার্থীর মনোনয়ন, বারাসতে প্রকাশ্যে দলের গোষ্ঠীকোন্দল
বলে রাখি, সম্প্রতি সন্দেশখালির ২ মহিলা দাবি করেন, তাঁদের দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিয়েছেন বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি। সাদা কাগজে সই করিয়ে পরে তাতে অভিযোগের বয়ান লেখা হয়। এই অভিযোগে সোমবার মাম্পিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে ৭ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে বসিরহাট আদালত।