এক সময় জমিদার বাড়ি দূর্গা পূজো শুরু করেছিল। বর্তমানে জমিদার বাড়ি থেকে সেই পুজোর কোনও খোঁজ নেওয়া হয় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন সেই পুজো হয়ে গিয়েছে গ্রামের পুজো। ওই জমিদার বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। উত্তর দিনাজপুরের বাহিন গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিবছর সেই দুর্গাপূজোর আয়োজন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: দেবীর গজে আগমন কী সংকেত নিয়ে আসছে
কথিত আছে বাহিন জমিদার বংশ এই দুর্গাপুজো শুরু করেছিল। বর্তমানে জমিদার বাড়ির সদস্যরা প্রায় সকলেই শহরে থাকেন। সেই জমিদার বাড়িটিও বর্তমানে প্রায় ভগ্ন প্রায় অবস্থায় রয়েছে। এখন সেই জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো কোনওভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাহিন গ্রামের বাসিন্দারা। অবিভক্ত বাংলাদেশের দিনাজপুরে জমিদার রুদ্রপ্রতাপ চৌধুরী এই দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। বাহিনসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম নিয়ে ছিল তার বিভিন্ন এলাকা নিয়েছিল তার জমিদারি নদীর ধারেই রয়েছে তার অট্টলিকা। সেখানেই হত বাহিন জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। পুজোর সময় টানা সাত দিন ধরে প্রজাদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হতো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমিদারি শেষ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র গ্রামবাসীদের চেষ্টায় টিকে রয়েছে বাহিন বাড়ির দুর্গাপুজো।
আগে এই দুর্গাপুজোয় সময় যাত্রাপালা, সার্কাস এবং মেলার আয়োজন করা হত। তবে এখন শুধুমাত্র দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা বিশু দাস জানিয়েছেন, গ্রামের মানুষজনই চাঁদা তুলে এই পুজোর আয়োজন করেন। শুধুমাত্র দশমীর দিন এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। সেই মেলায় অংশগ্রহণ করেন আশেপাশের গ্রামের মানুষজন। গত দু'বছর ধরে করোনার কারণে দুর্গাপুজো সেভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। তবে এবার ঘটা করেই সেখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হবে বলে বিশু দাস জানিয়েছেন।