বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ভাঙড়ে তৈরি হচ্ছে মহিলা থানা! ৩১ নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের

ভাঙড়ে তৈরি হচ্ছে মহিলা থানা! ৩১ নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের

ভাঙড়ে তৈরি হচ্ছে মহিলা থানা (ছবি প্রতীকি)  (HT)

ভাঙড়ের অন্তর্গত ভাঙড়, কাশীপুর ও লেদার কমপ্লেক্স এই তিনটি থানা ভেঙে কলকাতা পুলিশের অধীনে একটি মহিলা থানা সহ মোট নয়টি থানা তৈরী হতে চলেছে। যদিও মহিলা থানার পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল সরকার।

পঞ্চায়েত ভোট পর্বে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। রাজনৈতিক সংঘর্ষ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ভাঙড়ের। সংঘর্ষের ঘটনায় বার বার খবরের শিরোনাম উঠে এসেছে ভাঙড়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধ দমনে ভাঙড় তৈরি হবে একটি মহিলা থানা। প্রস্তাবিত মহিলা থানায় ৩১টি মহিলা পুলিশকর্মী পদের সৃষ্টি করা হল, যেখানে ৩১ জনকে নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এই ৩১ জন মহিলা পুলিশ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।

ভাঙড়ের অন্তর্গত ভাঙড়, কাশীপুর ও লেদার কমপ্লেক্স এই তিনটি থানা ভেঙে কলকাতা পুলিশের অধীনে একটি মহিলা থানা সহ মোট নয়টি থানা তৈরী হতে চলেছে। যদিও মহিলা থানার পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল সরকার। এরপর কলকাতা পুলিশের তরফে খোদ পুলিশ কমিশনার উদ্যোগ নেন বিষয়টিতে। কলকাতা পুলিশের একাধিক আধিকারিক, ট্রাফিক বিভাগের একাধিক কর্তাকে পাঠিয়ে এলাকা পরিদর্শনের কাজ শেষ করে। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, কালিকাপুর মৌজায় ভাঙড় থানার পাশেই তৈরি হবে প্রস্তাবিত মহিলা থানা।

মঙ্গলবার নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৩১টি পদ তৈরির কথা জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ১ জন মহিলা ইন্সপেক্টর, ৫ জন লেডি সাব ইনস্পেক্টর, ৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট লেডি সাব ইনস্পেক্টর, ১৫ জন কনস্টেবল, ২ জন ওয়ারলেস সুপারভাইজার ও ৩টি পুলিশ ড্রাইভার পদ তৈরি করা হয়েছে। তবে ওয়ারলেস সুপারভাইসর পদে দু’জন এবং চালক পদে তিনজনকে আপাতত চুক্তি ভিত্তিক কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হবে। এই মহিলা থানার জন্য ৩১টি পদ তৈরির ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সম্মতি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এই পদগুলিতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দ্রুত নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোট এবং ভোট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের হিংসার আগুন জ্বলেছিল ভাঙড়ের বুকে। ১৪৪ ধরা বেশ কিছু সময়ের জন্য লাগু হয়েছিল। তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যকার সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল উভয় দলের বেশ কিছু সমর্থকের। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভাঙড়ের পরিস্থিতিকে কতটা স্বাভাবিক করে তুলতে পারে, সেই দিকেই নজর থাকবে সবার।

বন্ধ করুন