আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে পূর্ব মেদিনীপুরে ইয়াসের তীব্রতা সব থেকে বেশি হতে পারে। বুধবার সকালে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের উপর দিয়ে। একটা সময় ঝড়ের তীব্রতা বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এর জেরে বিপর্যস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। এসবের মধ্যেই নন্দীগ্রাম ও সংলগ্ন এলাকায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বেরলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় বেরলেন তিনি।নন্দীগ্রামের পাশাপাশি রেয়াপাড়া, সোনাচূড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার কথা তিনি জানিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, গতবার আমফানের সময় তিনি ছিলেন মন্ত্রী। এবার তিনি বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রাম আসন থেকে খোদ তৃণমূল নেত্রীকে তিনি হারিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ইয়াস মোকাবিলায় কি আগের মতো তিনি মানুষের পাশে থাকতে পারবেন? এই প্রশ্নটাই ঘুরছে এলাকায়। তবে এনিয়ে কার্যত আক্ষেপ শুভেন্দুর গলায়।
বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘নন্দীগ্রামের নির্বাচকমণ্ডলীকে জানাতে চাই সরকার, প্রশাসন, আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলুন। তবে যদিও এখন মন্ত্রী নই ও রাজ্যে যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা তাতে সরকারি প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে যে কাজটা গতবছর করতে পেরেছিলাম সেটা হয়তো করতে পারব না। তবে আপনাদের সঙ্গে আছি। সরকার ২১ হাজার মানুষকে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সবাইকে তুলতে এখনও পারেনি। আমার ও দলের পক্ষ থেকে ১৫টা সেন্টার করেছি। সেখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে সরানোর চেষ্টা করছি। সরকারি প্রশাসনের যে ব্যবস্থা সেটাকেও সহযোগিতা করব। যেহেতু প্রশাসন আমাদের সঙ্গে সমণ্বয় না রেখে কাজ করছে। এখানকার সিস্টেমটা জানি। মানুষের প্রাণ বাঁচানোটাই সবথেকে বড় কাজ। সরকারের যেখানে ফাঁকফোকর থাকবে সেখানে সকলে মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করব। এটা বলতে পারি আপনাদের আত্মীয় শুভেন্দু আপনাদের সঙ্গেই আছে।’