মন্দিরের জানালা ভেঙে সোনার গয়না-সহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে পালালো দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার শতাব্দীপ্রাচীন করুণাময়ী কালী মন্দিরে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার সামগ্রী চুরি করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শতাব্দী প্রাচীন ওই কালীমন্দিরে কয়েক কোটি টাকার সোনার অলঙ্কার ছিল। মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য সেখানে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। তাছাড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রয়েছে। সবসময়ের জন্য দু'জন বন্দুকধারী পুলিশকর্মী সেখানে মোতায়েন থাকেন। আমডাঙা থানাও মন্দির থেকে ঢিল ছোড়া দূরে অবস্থিত। শুধু তাই নয়, মন্দিরে নিরাপত্তার জন্য সাইরেনের ব্যবস্থাও রয়েছে। যদি কেউ ঠাকুরের গয়না স্পর্শ করে, তাহলে সাইরেন বেজে ওঠে। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চুরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মন্দির কমিটির দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের পাঁচিল টপকে ড্রিল দিয়ে জানলা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে দুষ্কৃতীরা। তারপরে তারা সোনার গয়না-সহ অলঙ্কার চুরি করে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। আগুন জ্বালিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। অবশেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চুরির ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান। তিনি জানান, 'মায়ের বিগ্রহ স্পর্শ করলেই সাইরেন বেজে ওঠার কথা । কিন্তু কোন কারণে সেই সাইরেন বাজেনি সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে পুলিশকে। ' এর পরেই বিধায়কের অনুগামীরা মন্দিরের বর্তমান পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে মূল ফটকের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে আমডাঙা থানার পুলিশ।