গঙ্গাসাগর যেন মিলনক্ষেত্রে। অনেকে হয়তো বহু দিন আগে এসেছেন। ফের যখন ২০২৫ সালে তাঁরা এলেন একেবারে বদলে গিয়েছে গঙ্গাসাগর। সার্বিকভাবে পরিকাঠামো অনেকটাই উন্নত হয়েছে। একটা সময় ছিল গঙ্গাসাগর যাত্রা ছিল যথেষ্ট দুর্গম। বর্তমানেও ভেসেলে নদী পেরিয়ে যেতে হয়। তবে পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা উন্নত হয়েছে। আর সেই বদলে যাওয়া গঙ্গাসাগরে গিয়ে কার্যত নস্টালজিয়ায় ডুব দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। মনে পড়ে গেল পুরনো সেই দিনের কথা। তখন তিনি ছিলেন আরএসএস কর্মী। গ্রামে গ্রামে ঘুরে সংঘের কথা বলতেন। ফের গঙ্গাসাগরে গিয়ে পুরনো সাথীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁদের আপ্যায়নে মুগ্ধ তিনি।
সোশ্য়াল মিডিয়ায় সেকথা লিখেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, আজ গঙ্গা সাগরে পুণ্য স্নান সেরে দীর্ঘদিনের সাথীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলাম। ৯০ এর দশকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কাজের সুত্রে আমাদের পরিচয় হয়েছিল। তখন এই গঙ্গাসাগর চত্বর, পুরো এলাকা আমরা পায়ে হেঁটে ঘুরতাম। এখন যত বয়স বাড়ছে মনের মধ্যে স্মৃতিরা ভিড় করে আসে। আজ আবারও সব স্মৃতি মনে পড়ে গেল। এখানকার মানুষদের আতিথেয়তা, আন্তরিকতার তুলনা নেই। গাছ থেকে টাটকা মিষ্টি ডাব পেড়ে খাওয়ালেন গ্রামবাসীরা। পুরো গ্রামের মানুষজন এসে আলাপ করে গেলেন আমাদের সঙ্গে। সবার সঙ্গে দীর্ঘ কথাবার্তা আর সেইসব ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণ। খুব সুন্দর কাটল সময়টা।
গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে গিয়েই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল দিলীপ ঘোষের। সেখানকার পুরনো মানুষের সঙ্গে বসলেন দিলীপ ঘোষ। সেই ৯০ দশকের কথা মনে পড়ে গেল দিলীপ ঘোষের। এখানেই তো একদিন আসতেন তিনি। এই মানুষগুলোর কাছে। অনেক দিন পরে তাঁরা পেলেন তাঁদের সেই প্রিয় দিলীপ দাকে। যে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তখন নিরাপত্তারক্ষী থাকত না। গ্রামে ঘুরে বেড়ানো, সংঘের কথা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা। এরপর গ্রামেরই কোনও বাড়িতে একটু খাওয়াদাওয়া। এভাবেই দিন কেটে যেত তাঁর।
এরপর ধাপে ধাপে রাজনৈতিক উত্থান। বঙ্গ বিজেপির ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। এরপর বিজেপির সাংসদও হয়েছিলেন তিনি। তবে সেসব আজ অতীত।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে কিছুটা হলেও তাঁর নিজের ঘরেই তিনি কোণঠাসা। সেই রাজনৈতিক দাপট আর নেই। গঙ্গাসাগরে এসে মনে পড়ে যাচ্ছে পুরনো দিনের কথা।