রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে থাকাকালীনও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে নিশীথ প্রামাণিকের সম্পর্ক ছিল একেবারে আদায় কাঁচকলায়। জেলার রাজনীতিতে তৎকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে কোণঠাসা করতে নিশীথ প্রামাণিক কার্যত সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। এরপর নিশীথ বিজেপিতে যোগদানের পর দুজনের মধ্যে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হয়। একেবারে প্রকাশ্য়ে দুজনে তর্কে জড়িয়েছেন এমন ছবিও দেখেছে কোচবিহার। পুরানো মামলার রেশ টেনে বার বার নিশীথ প্রামাণিককে কোণঠাসা করার চেষ্টা করতেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এবার সেই নিশীথ প্রামাণিকই স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী। আর রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবার ভোটে পরাজিত হয়ে মন্ত্রীত্ব খুইয়েছেন। কিন্তু পুরানো শত্রুকে খোঁচা দিতে ফের সেই পুরানো মামলাকেই সামনে আনার চেষ্টা করলেন রবীন্দ্রনাথ। তবে সবটাই তিনি করেছেন কারোর নাম না করে। জন বারলার নাম না করেও তোপ দাগেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, 'সাধারণ মানুষ আজ বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। এই যে দুজন মন্ত্রী করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ থেকে, আগে দুজন হাফপ্যান্ট মন্ত্রী ছিলেন তাঁরা উত্তরবঙ্গ থেকে কিছুই করেননি। আরও যাদের করেছে তারাও এমপি হয়ে কাজ করতে পারেননি। কাদের করেছে যারা রাজ্যটাকে ভাঙতে চাইছে। উত্তরবঙ্গকে আলাদা করতে চাইছে। উত্তরবঙ্গের দুর্দশার কারণ হতে চাইছে। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। উন্নয়নটাকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে। আমরা ধিক্কার জানাই কেন্দ্রীয় সরকারকে। এমন একজনকে মন্ত্রী করা হল, লজ্জা লাগে ভাবতে, যার বিরুদ্ধে ১১টারও বেশি ক্রিমিনাল কেস রয়েছে, ডাকাতির কেস, অপহরণের কেস রয়েছে, সিবিআই যার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছিল, আমরা দেখেছি সেই অপরাধ জগতের মানুষকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভাকে কলুষিত করলেন এটাই আমরা মনে করছি। রাজ্যের মানুষ যেভাবে গর্জে উঠেছে, দেশের মানুষ গর্জে উঠেছে, আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।'