দলের মধ্যে জগন্নাথ সরকারের বিরোধী বলেই পরিচিত শান্তিপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। কিন্তু নির্বাচনী আবহে যাবতীয় দ্বন্দ্বকে দূরে রেখে আপাতত ঐক্যের বার্তা দিতে চাইছেন সকলেই। আর সেই বার্তাকে একেবারে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে শুক্রবার জগন্নাথ সরকারকে সঙ্গে নিয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। আসলে নির্বাচনের কঠিন লড়াইতে নেমে পারস্পরিক কোনও দ্বন্দ্ব আর জিইয়ে রাখতে চাননা তাঁরা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনও গেরুয়া শিবিরের অন্দরের যাবতীয় দ্বন্দ্বকে চাপা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করেন দলীয় নেতৃত্ব। দলের মধ্যে থাকা দুই গোষ্ঠীর লোকজনকেই দেখা যায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর সু সম্পর্ক বোঝাতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের দাবি, 'জগন্নাথ সরকার আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবকক। তাঁর সময়ে আমি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। আমাদের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। বিরোধীরা অপপ্রচার করছেন।' আর কোথাও যে কোনও বিরোধ নেই সেটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন জগন্নাথও। একেবারে প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে জগন্নাথ সরকারের দাবি, ‘আমাদের একই এলাকায় বাড়ি। নিরঞ্জনের দাদার সঙ্গ আমি খেলা করেছি। আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি ১৬ হাজার ভোটে জিতেছিলাম। এবার নিরঞ্জন দ্বিগুণ ভোটে জিতবে।’ তবে দলের একাংশের মতে, ওপরে ঐক্যের বার্তা দেওয়া হলেও প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে দলের একাংশ আদৌ কতটা মাটি কামড়ে লড়াই করবেন তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।