২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ধনবান নয়, বিবেকবান লোক চাই’ মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার আসানসোলের হটন রোড মোড়ে ওবিসি মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত 'গণতন্ত্র বাঁচাও সপ্তাহ ' পালনের ধরনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দিলীপ বলেন - দিদি এখন বিবেক খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু ওনার দলে এমন নেতা নেই যিনি কোটিপতি হননি।
আরও পড়ুন - কারও চাকরি যাবে না, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে আশ্বাস মমতার
পড়তে থাকুন - 'সারে জাহাঁ সে আচ্ছা লেখেন নজরুল ইসলাম', মমতার কথায় উপহাস BJP নেত্রীর- ভিডিয়ো
দিলীপবাবু বলেন, ‘শুনছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ। উনি বললেন, আমি ধনবান চাই না। আমি বিবেকবান চাই। মাঝে মাঝে সুন্দর সুন্দর কথা বলেন, শুনতে খুব ভালো লাগে। উনি বোঝেন কি না জানি না। আচ্ছা খুঁজে দেখুন তো তৃণমূলের মধ্যে বিবেকবান বলে কোনও পদার্থ আছে? মমতা ব্যানার্জির থেকেই শুরু করুন আপনারা। ভাইপোর কথা ছেড়ে দিন। কোনও বিবেকবান প্রধানমন্ত্রীকে হরিদাস পাল বলতে পারে? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হোঁদলকুৎকুৎ? তাঁর বিবেক, জ্ঞান – বুদ্ধি - মনুষ্যত্ব কী আছে আমি জানি না। তার ওপরে উনি বিবেকের কথা বলবেন। কার নাম বিবেক তাও জানা নেই।’
মমতার বিবেকবান লোক চাই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে দিলীপবাবু বলেন, ‘দিদির বিবেকবান লোক কেমন? আমাদের পাশের জেলায় একজন ছিল, কেষ্ট। সে এখন তিহাড়ের ভাত খাচ্ছে। তার বিবেক দেখেছেন আপনারা? যত চালকল, পেট্রল পাম্প, বাগানবাড়ি, দামি গাড়ি সব ওর নামে হয়ে গেছে। কে তৈরি করেছে কোনও ব্যাপার নয়। সব জিনি তাঁর। এই হচ্ছে সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকার মালিক বিবেকবানের উদাহরণ।’
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গিনীর বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের ঘটনাকে হাতিয়ার করেও মমতাকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘পার্থবাবু এখন জেলের ভাত খাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী জেলে। কীরকম বিবেক দেখুন। এই হচ্ছে বিবেকের নমুনা। উনি সারাদিন সাংবাদিকদের বাড়ির বাইরে বসিয়ে রাখতেন। একটা লাল চা-ও খাওয়াত না। এরম মাল চাইছেন মমতা ব্যানার্জি।’
আরও পড়ুন - ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ডাক দিয়েছেন মমতা: BJP
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দলে নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘ভাদু শেখ, শেখ শাহজাহান, সাদ্দাম সরদার এই হল বিবেকবান মানুষের উদাহরণ। মমতা ব্যানার্জি এদের তৈরি করেছেন। উনি বিবেকবান তৈরি করতে পারেননি কিন্তু ধনবান তৈরি করেছেন। একজন কাউন্সিলর ৪ কোটি টাকার বিদেশি গাড়ি চড়ে। তাহলে সাংসদ, বিধায়কদের কী হবে ভাবুন। তাদের বিমান কেনার পয়সা রয়েছে। টাকা কোথায় রাখবে কী করবে ঠিক করতে পারে না। আলমারির মাথায়, খাটের তলায়, আলমারির মধ্যে। পার্থবাবুর তো কেউ নেই তার পরেও তিনি একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কী জন্য? টাকা রাখার জন্য। ওনার পার্টিতে এমন নেতা খুব রয়েছেন যাঁরা কোটিপতি হননি।’