বিজেপিতে নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের পর থেকে বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে ৫ বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পরই বাঁকুড়ার বেশ কয়েকজন বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। বিরোধীরা এই গ্রুপ ত্যাগকে বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল হিসাবে দেখছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগী বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মতে, ‘লেফটের কিছু হয়নি। সবটাই রাইট আছে।’
সম্প্রতি বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করা হয়। এই বদলের পরই বাঁকুড়া জেলায় বিজেপির মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধারা ও সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। এভাবে একের পর এক বিজেপি বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের মধ্যে প্রবল অস্বস্তি বাসা বেঁধেছে। তবে বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মতে, ‘এটা দলের অভ্যন্তরীন বিষয়। দলের মধ্যে আলোচনা হবে। আমরা দলেই থাকব। বিরোধীদের খেয়ে দেয়ে কাজ নেই। ওরা ওদের ঘর সামলাক।’
এদিকে গোটা বিষয়ে বিজেপিকে নিশানা করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাঁকুড়া তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। তিনি জানান, ‘রাজ্য ও জেলা জুড়ে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরমে উঠেছে, তা আমরা দেখছি। দরজা খুললেই লাইন লেগে যাবে।’ পাল্টা বাঁকুড়ার হোয়াইসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগী বিজেপি বিধায়কের মতে, আসলে যারা এই সব প্রচার করছে, তাঁরা বিজেপিতে আসবে বলেই এই সব কাজ করছে। অন্যদিকে কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় রাজ্য বিজেপি সভাপতির কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন ইতিমধ্যে।