করোনাকালে তিনবছর ধরে বন্ধ ছিল শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। সাধারণত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এই মেলার আয়োজন করে থাকে। তবে গত বছর পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করা হলেও তাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের কোনও ভূমিকা ছিল না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এবার পুরনো ছন্দেই ফিরতে চলেছে শান্তিনিকেতনের সেই পৌষমেলা।আগামীকাল ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সেই পৌষমেলা। তবে এবারের পৌষমেলা আন্তর্জাতিক নয়। নেপথ্যে কারণ হল বাংলাদেশ পরিস্থিতি। প্রতিবারই পৌষমেলায় বাংলাদেশের অনেক স্টল থাকে। তবে এবার থাকছে না ওপার বাংলার কোনও স্টল। সেই সঙ্গে নেপাল, ভুটান প্রভৃতি দেশের স্টলও থাকছে না শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায়।
আরও পড়ুন: ৫ বছর পর ফের শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আমেজ!বিশ্বভারতীর উদ্যোগে কবে শুরু হচ্ছে মেলা
আয়োজকদের বক্তব্য, যেহেতু বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থির সেই কারণে এ বছর বাংলাদেশ থেকে কোনও স্টল আসেনি। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল এবং ভুটান থেকেও কোনও স্টল আসেনি। ফলে এবার পৌষমেলা আন্তর্জাতিক হতে পারল না। তাতে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা খারাপ লাগা রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এবার মেলা সবাই উপভোগ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর আশা, আগামী বছর থেকে আবার আন্তর্জাতিক হয়ে উঠবে পৌষমেলা।
এ বিষয়ে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ভ্রমর ভাণ্ডারী অবশ্য এর জন্য বিদেশ নীতিকেই দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে কোথায় একটা সমস্যার কারণে এবার অন্যান্য দেশ থেকে স্টল আসেনি। এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আয়োজনে এবার।ফের বীরভূমে পৌষমেলা হতে চলেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবারের পৌষমেলাকে ঘিরে আলাদা আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া, এবার এই মেলা তিন দিনের বদলে চলবে ৬ দিন ধরে। এর আগে রাজ্য প্রশাসন এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক করে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এবারের পৌষমেলা চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। স্টল বসানোর কাজ প্রায়ই শেষ। প্রশাসনের আধিকারিকরা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন। উল্লেখ্য, এবারের পৌষমেলায় থাকছে ১৬০০ টি স্টল। তবে পুরনো ছন্দে ফিরলেও আন্তর্জাতিক হচ্ছে না।