পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন কি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় হবে? এই নিয়ে জল্পনা ফের উস্কে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার হুগলির জিরাটে এক জনসভায় তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের সময় আমাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি। যেখানে মনোনয়ন দিতে পেরেছি সেখানে জিতেছি। কিন্তু জেনে রাখুন, এই ভোটটা দিল্লির দাদারা করাবে, দিদিদের দিয়ে আর হবে না।’
রাজ্য পুলিশের জন্য এবার বুথে বুথে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড লাগিয়ে দেবে বিজেপি। এই কথা জানিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘বুথে বুথে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড লাগিয়ে আমরা পুলিশকে বলব, দাদা ১০০ মিটার দূরে গাছের তলায় চেয়ার নিয়ে বসুন। দিল্লির পুলিশ এসে ভোট সামলাবে।’ সভায় উপস্থিত কয়েক শো গেরুয়া–সমর্থকদের উদ্দেশে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভোট হবে আর সেই ভোটে বিজেপি জিতবে।’
চলতি মাসের গোড়ায় রাজ্য সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিধানসভা ভোটে ২০০ আসনে বিজেপি জিতবে বলে জানিয়ে গিয়েছেন। একইরকম আশাবাদী দিলীপ ঘোষও। এদিন জিরাটের সভামঞ্চে তিনি বলেন, ‘হুগলির ৭টা বিধানসভাতেই জিতবে বিজেপি। আমরা এখান থেকে সাতজন বিধায়ককে বিধানসভায় পাঠাব।’ হুগলি নিয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, ঋষি অরবিন্দ, রামমোহন রায়ের হুগলি আজ বালি চোর, চাল চোর, পাথর চোর, কয়লা চোরে ভরে গিয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যাজিক জানেন বলে এদিন কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘৫ টাকার আলু ৪৫ টাকা হয়ে গিয়েছে। ২ টাকার পেঁয়াজকে ১০০ টাকা করে দিয়েছে। এই ম্যাজিক একমাত্র দিদিমণিই করতে পারেন। আর এই ৪০ টাকা, ৯৮ টাকা যাচ্ছে কালীঘাটে। আবার তিনি নরেন্দ্র মোদীকে দোষ দিচ্ছেন। মোদী আলু চাষ করেন নাকি?’ দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, ‘হুগলিতে ‘সবুজদ্বীপ’ নামে এক প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। তা কি হয়েছে? নাকি টাকা এসেছে আর দিদির ভাইরা মিলে খেয়ে নিয়েছে!’