আবার মুখ খুললেন কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেন, মার্চে দিল্লি যাচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাপারটি নিয়ে যাওয়া।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের প্রসঙ্গে মুখ খোলেন।
কার্তিক মহারাজ বলেন, যেদিনই আসবেন তারা( হিন্দুরা) ভারত সাদরে তাদেরকে গ্রহণ করবে, জায়গায় দেবে। তারা অনুপ্রবেশকারী নন, তারা শরনার্থী হিসাবে আসছেন, তাদের আসতে দেওয়া ভারত সরকারের কর্তব্য। বর্ডারে তাদের সিল করে রাখা হচ্ছে। তারা মারা যাচ্ছে। যারা জঙ্গি আন্দোলন করছে তারা অনুপ্রবেশকারী। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সাংসদ ভালোভাবেই বলেছেন। তবুও বলব, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান। তবে মনে রাখতে হবে বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায়, জানোয়ারের মন থেকে বন তোলা যায় না।
এদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী দিনে কার্তিক মহারাজ রাজনীতির মূল স্রোতে আসতে পারেন বলেও নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশের যোগীর সঙ্গেও তুলনা করা হয় তাঁকে। তবে বাস্তবে ২০২৬ সালের আগে তিনি রাজনীতিতে আসেন কি না তার জবাব দেবে সময়। তবে একের পর এক ক্ষেত্রে নানা ইস্যুতে তিনি মুখ খোলেন ইদানিং।
তবে এর আগেও তিনি বাংলাদেশে থাকা হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে সওয়াল করেছিলেন।
এর আগে কার্তিক মহারাজ বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা দেখলে হতাশা হয়। তাই রবীন্দ্রনাথের উক্তি ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ…’ পাথেয় করে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশের হিন্দুদের সীমান্ত পার করে এদেশে আনা ও তাঁদের বসবাসে ব্যবস্থার দাবি জানাব। তারা তো অনুপ্রবেশকারী নয়। তারা হচ্ছে শরণার্থী। তারা ধর্ম পালন করার অধিকার রক্ষা করতে ওখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা করা।’
এবার দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ নিজেই। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ওপার থেকে হিন্দুরা এলে তাঁরা শরনার্থী। অনুপ্রবেশকারী নন।
এখানেই প্রশ্ন ওপার থেকে হাজার হাজার হিন্দু এপারে চলে এসেছেন বলে বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি করা হয়। তাদের অনেকেই শাসকদলের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে রয়েছেন। এবার আরও হিন্দু ওপার থেকে চলে এলে তাতে এপার বাংলা কতটা উপকৃত হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।