মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এল সেই বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে রচনার কথা। বাংলা সফরে এসে বাঁকুড়া আদিবাসী গ্রাম চতুরডিহির এই বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিভীষণবাবু মেয়ের অবস্থার কথা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন অমিত শাহ–কে। কিন্তু তিনি কোনও সাহায্য পাইনি বলে অভিযোগ। শেষে এগিয়ে আসে রাজ্য সরকার। এদিন অমিত শাহ তথা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তা নিয়েই আক্রমণ করলেন মমতা।
দীর্ঘদিন ধরেই ডায়বেটিস ইনসিপিডাস রোগে আক্রান্ত দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া রচনা। দু’বছর ধরে চলছে চিকিৎসা। নিয়মিত নিতে হয় ইনসুলিন। প্রতি মাসে তার জন্য খরচ পড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। চিঠি মারফত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন বিভীষণ। তাঁর বাড়িতে বিজেপি সাংসদ চিকিৎসক সুভাষ সরকার এসেও ছিলেন। কিন্তু তার পর আর কোনও কাজ এগোয়নি বলে অভিযোগ।
এমন সময় এগিয়ে আসে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। তাঁদেরই একজন এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই অসুস্থ মেয়েটির চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেই তো জানি। তখনই তিনি অমিত শাহকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ওরা তো রাজনীতি করতে এসেছিল। খেয়ে পালিয়েছে। তাও পাঁচতারা হোটেলের খাবার নিয়ে এসে খেয়ে পালিয়েছে। কিন্তু ওই মেয়েটির চিকিৎসার কোনও উদ্যোগ নেয়নি।’
এর পরই বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান, বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে চিকিৎসক গিয়েছেন। অসুস্থ মেয়েটির নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন সেই বাড়িতে আশাকর্মীরা দিয়ে তার খবর নেন। মেয়েটির যে সব ওষুধপথ্যের প্রয়োজন তা রোজ দেওয়া হচ্ছে।