হলদিয়ায় মা – মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূল অভিযুক্ত সাদ্দামের দাবি, তাঁর হাজরায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই ফ্ল্যাট লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন রমা। না দিলে ঘনিষ্ঠ ছবি স্ত্রীর কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তার পরই মা মেয়েকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সাদ্দামের দাবি মেনে নিয়েছেন নব বারাকপুরে রিয়া ও রমার প্রতিবেশীরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, মা-মেয়ের গতিবিধি মোটেও সুবিধার ছিল না। এলাকায় কারও সঙ্গে মেলামেশা করত না তারা। মাঝেমাঝেই লেগে থাকত অচেনা পুরুষদের আনাগোনা। সেজন্য তাদের এড়িয়ে চলতেন প্রতিবেশীরা। রমার আয়ের উৎস সম্পর্কেও কিছু জানতেন না তাঁরা। যদিও মা ও মেয়ে অভিজাত জীবনযাপন করতেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় সাদ্দাম জানিয়েছেন, গোপন ছবি ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে রমা ও রিয়া তাঁর কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। তার ৪ লক্ষ টাকা তিনি দিয়ে দিয়েছেন। বাকি ৬ লক্ষ টাকার সঙ্গে কলকাতায় হাজরায় তাঁর ফ্ল্যাটটিও দাবি করছিল মা – মেয়ে। সেজন্য লাগাতার ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হতে হত তাঁকে। এই চক্র থেকে মুক্তি পেতে রিয়া ও রমাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সাদ্দামের দাবি, পুরুষদের প্রলোভন দিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে তাদের ঘনিষ্ঠ ছবি তুলে রাখতেন রিয়া ও রমা। তার পর সেই ছবি পরিবারের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন তাঁরা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারির সকালে হলদিয়ার দুর্গাচকে হলদি নদীর পাড়ে ২টি দেহ জ্বলতে দেখা যায়। তদন্তে উঠে আসে, নিহতরা মা ও মেয়ে। নাম রমা দে ও রিয়া দে। এর পরই সাদ্দামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।