পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে শিশির অধিকারীকে অপসারণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মঙ্গলবার বেলায় এ খবর প্রকাশ্যে আসে। আর এ ব্যাপারে রীতিমতো হুঙ্কার দিয়েছেন শিশির–পুত্র বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে বিজেপি–র এক মিছিল চলাকালীন এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘যাঁরা তাঁকে সরিয়ে দিয়েছেন মে মাসে তাঁদেরই পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’
পশ্চিমবঙ্গের সৈকতনগরীগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল দিঘা ও শঙ্করপুর। এই দুটি এলাকাই রাজ্যের পর্যটন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এদিকে, তৃণমূলের অন্যতম বরিষ্ঠ সাংসদ শিশির অধিকারী ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিতি। তাঁর মেজো ছেলে শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার আগে পর্যন্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের আসনের প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯ ডিসেম্বর ৬ জন বিধায়ক ও বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল–সহ শাসকদলের ডজনখানেক নেতাকে নিয়ে বিজেপি–তে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হাত থেকে তুলে নেন বিজেপি–র পতাকা।
এর কয়েকদিন পর শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেন। এদিকে, শুভেন্দুর দাদা তথা শিশির অধিকারীর বড় ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের সাংসদ।
এদিন তাঁকে অপসারণের ব্যাপারে শিশির অধিকারী জানান, দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে এখনও কোনও সরকারি নির্দেশ তিনি পাননি। এদিকে, পর্ষদের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন যে এদিন তাঁকেই দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তিনি এদিন আরও বলেন, ‘শিশির অধিকারী একজন বরিষ্ঠ নেতা, তাঁকে আমরা সকলে সম্মান করি। কিন্তু ইদানিং তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় পর্ষদকে সময় দিতে পারছিলেন না।’