বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > থানা থেকে পালিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ, তবুও শেষ রক্ষা হল না, পুলিশের হাতে ধরা পড়ল চোর

থানা থেকে পালিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ, তবুও শেষ রক্ষা হল না, পুলিশের হাতে ধরা পড়ল চোর

ধৃত চোর। নিজস্ব ছবি

বালি ব্রিজের কাছাকাছি থাকা একটি নৌকার মাঝিদের নজরে পড়ে বিষয়টি। ঘটনার খবর পেয়ে নদীর কাছে পৌঁছে যান বিশ্বজিৎ মাহাতো নামে এলাকার এক সাঁতারু। তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে চোরকে তাড়াতে শুরু করেন। দীর্ঘ সাঁতারের পর ক্লান্ত চোর ততক্ষণে নৌকা আকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে।

পুলিশের অসতর্কতায় থানা থেকে পালিয়ে গেল চোর। আর তারপরে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সোজা ঝাঁপ দিল গঙ্গায়। তার পিছু পিছু দৌড়াতে থাকল পুলিশও। কিন্তু গঙ্গার ধারে আসার পরে কার্যত অসহায় হয়ে পড়ে পুলিশ। এদিকে সাঁতার কাটতে কাটতে নদীপথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল চোর। জোয়ারের টানে ধীরে ধীরে বালি ব্রিজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। পরিস্থিতি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখে চোর চোর চিৎকার করতে শুরু করল খোদ পুলিশ। তবে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে শেষরক্ষা হল না চোরের। অবশেষে মাঝি এবং স্থানীয়দের তৎপরতায় ধরা পড়ল সেই চোর। ঘটনাটি হাওড়ার বালি থানার।

জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম লাল্টু দাস। একটি চুরির ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল বাথরুমে যাওয়ার নাম করে থানা থেকে দৌড়ে পালায় ওই চোর। এরপর শান্তিরাম রোড এবং জিটি রোড হয়ে ওই চোর দৌড়াতে থাকে। তার পিছু ধাওয়া করে ৭–৮ জন পুলিশ কর্মী। এর কিছুক্ষণ পরেই গঙ্গায় ঝাপ মারে লাল্টু দাস।

এদিকে, বালি ব্রিজের কাছাকাছি থাকা একটি নৌকার মাঝিদের নজরে পড়ে বিষয়টি। ঘটনার খবর পেয়ে নদীর কাছে পৌঁছে যান বিশ্বজিৎ মাহাতো নামে এলাকার এক সাঁতারু। তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে চোরকে তাড়াতে শুরু করেন। দীর্ঘ সাঁতারের পর ক্লান্ত চোর ততক্ষণে নৌকা আকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে। অতঃপর তাকে নৌকায় তুলে নিমতলা ঘাট থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ এ বিষয়ে কিছু বলতে না চাইলেও কী করে থানা থেকে একজন চোর পালিয়ে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, পুলিশের হাত ফসকে চোর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগর থানা থেকে একটি আসামি পালিয়ে হওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশকে বোকা বানিয়ে থানা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় মাদক কারবারে গ্রেফতার হওয়া ওই আসামি। পুলিশ পিছু নিয়েও তার নাগাল পায়নি। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন