ঝাড়গ্রামের পর ধূপগুড়ি। একই ধাঁচে চুরির ঘটনা ঘটল বলে অভিযোগ। শীতের রাতে সবাই যখন লেপ–কম্বল মুরি দিয়ে ঘুমোচ্ছেন তখন গ্রামের কাঁচা বাড়ির সিঁদ কেটে গৃহস্থের সর্বস্ব চুরি করে চম্পট দিল চোর। সেখানে মেয়ের বিয়ের গয়না থেকে শুরু করে নগদ টাকা রাখা ছিল। যা চুরি হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে গৃহকর্তা গোপাল মণ্ডলের। শনিবার মাঝরাতের এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া থানার পুলিশ। ঝাড়গ্রামে এভাবেই সিঁদ কেটে গোয়েন্দা এবং শিক্ষিকার বাড়িতে সর্বস্ব চুরি করেছিল চোর। যার এখনও হদিশ করা যায়নি।
ঠিক কী ঘটেছে ধূপগুড়িতে? শনিবার মাঝরাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢোকে চোর। তখন বাড়ির সবাই ঘুমোচ্ছিলেন। তারপর খুব সন্তর্পণে আলমারিতে রাখা সোনার গয়না, নগদ টাকা চুরি করে চম্পট দেয় চোর। তবে সে একা ছিল বলে মনে হচ্ছে না। একটা চোরের দল এসেছিল। কারণ অনেকগুলি পায়ের ছাপ মিলেছে। ঘুম থেকে উঠে নজরে আসে ঘরের জিনিসপত্র ফাঁকা এবং যা আছে তা অগোছালো। গয়নার ব্যাগ, দরকারি কাগজপত্র ছড়িয়ে রয়েছে। আলমারির দরজা ভাঙা বলে দাবি করেছেন গৃহকর্তা গোপাল মণ্ডল।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা নিয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ এসে দেখে গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কোনও আশার আলো দেখা যায়নি। তবে বাড়ির সদস্যরা দেখেন, সিঁদ কেটে ঠিক ঘরের চৌকির তলা দিয়েই ঘরে ঢুকে চুরি করেছে চোর। চুরির শেষে ওই একই পথ দিয়েই পালিয়েছে। এখন এই চুরির ঘটনার পর দিশেহারা মণ্ডল পরিবার। গ্রামের মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী বলছেন গৃহকর্তা? এই চুরির ঘটনার পর কার্যত কেঁদে ফেলেন গৃহকর্তা গোপাল মণ্ডল। তিনি এদিন বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। শীতের রাতে বড় চুরি হয়ে গিয়েছে বাড়িতে। সকালে দেখতে পাই শোকেসের তালা ভাঙা। বাড়ির ইলেকট্রিক মেইন সুইচও বন্ধ। আলমারিতে গিয়ে দেখি মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা সোনার গয়না, নগদ ৫০ হাজার টাকা সব উধাও।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup