দুর্গাপুজো, কালী পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর পর এবার সরস্বতী পুজোতেও কৃষ্ণননগরে বিসর্জন ঘিরে সংঘর্ষ। ২ ক্লাবের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ২ জন। বুধবার রাতে সংঘর্ষ থামাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। লাঠিচার্জ ও ধরপাকড় করে নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে বুধবার রাতে সরস্বতী পুজোর ভাসানের সময় কৃষ্ণনগরে ২টি ক্লাবের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ক্রমশ সংঘর্ষ ভয়ানক আকার নেয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামেন কোতয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিকরা। ততক্ষণে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে রাজপথ।
পুলিশ লাঠি নিয়ে ময়দানে নামতেই পালানো শুরু করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া যুবকরা। পুলিশ কর্মীরা মোটরসাইকেলে চড়ে তাদের তাড়া করে। হালকা লাঠি চার্জ করেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে ২ পক্ষের ২ জন আহত হয়েছেন। তাদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একের পর এক পুজোর ভাসানে কৃষ্ণনগরে ক্লাবে ক্লাবে সংঘর্ষ নিয়ে সেখানে পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেলা সদরে বারবার এই ধরণের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ আগাম ব্যবস্থা কেন নিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন পুলিশ আগে থেকে উদ্যোক্তাদের এব্যাপারে সতর্ক করছে না সেই প্রশ্নও করছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে যে কোনও পুজোর বিসর্জনের সময় এলেই আতঙ্কে থাকেন শহরের একটা বড় অংশের বাসিন্দারা।