বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > এবার ‘QR Code’ জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস বাঁকুড়ায়, ধৃত মাস্টারমাইন্ড-‌সহ ২

এবার ‘QR Code’ জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস বাঁকুড়ায়, ধৃত মাস্টারমাইন্ড-‌সহ ২

এবার ‘‌কিউআর কোড’‌ জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস বাঁকুড়ায়, ধৃত মাস্টারমাইন্ড-‌সহ ২: ছবি (‌সৌজন্য ফেসবুক)‌

তদন্তে নেমে অভিযুক্তের কাছ থেকে ৫৭টি কিউআর কোড উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সব্যসাচীর কাছ থেকে ভুয়ো তথ্য দিয়ে অ্যাক্টিভেট করা প্রায় ৩ হাজার সিমকার্ড, ভুয়ো আধার কার্ড, কম্পিউটার, পেন ড্রাইভও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

ই-ওয়ালেট জালিয়াতি ‌কাণ্ডের রেশ কাটতে না-‌কাটতেই, এবার কিউআর কোড জালিয়াতির পর্দাফাঁস করল বাঁকুড়া পুলিশ। কিউআর কোড জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড-‌সহ সিম কার্ডের ডিলারকে গ্রেফতার করল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। বাঁকুড়ার ছাতনার আড়রা গ্রামের একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া সিম কার্ডের সুত্র ধরে তদন্তে নেমে, ‌সোমবার এই চক্রের চাঁইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সব্যসাচী কুন্ডু ও অভিযুক্ত ডিলারের নাম বাপি গড়াই।সব্যসাচীকে ছাতনার আড়রা গ্রাম ও বাপিকে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাপির কাছ থেকে প্রচুর সিম উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতের সঙ্গে অবশ্য ই-‌ওয়ালেট জালিয়াত অভিষেক মণ্ডলের কোনও যোগ নেই বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সব্যসাচী ছাতনার আড়রা গ্রামে নিজে আলাদা একটি সিন্ডিকেট চালাত। এই চক্র কতদুর জাল বিছিয়েছে, তার খোঁজে জোর তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‌জেলায় আরও সিন্ডিকেট আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।’‌

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বছর ২৩ এর ওই অভিযুক্ত সাদামাটা গ্রাম্য পরিবারের ছেলে। ওই গ্রামে তার বাবার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ই-ওয়ালেট জালিয়াতি কাণ্ডে ‌গ্রেফতার হওয়া ধোবাগ্রামের আভিষেক মণ্ডলের কায়দায় অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল সব্যসাচী। তবে অভিযুক্তের জালিয়াতি কারবারের মূল হাতিয়ার ছিল কিউআর কোড। আরও অভিযোগ, ভুয়ো তথ্য দিয়ে সিম অ্যাক্টিভেট করে সেই সিমে কিউআর কোড তৈরী করত সব্যসাচী।

তদন্তে নেমে অভিযুক্তের কাছ থেকে ৫৭টি কিউআর কোড উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোনও ব্যবসায়ী না-‌হয়েও এভাবে একসঙ্গে গোছা গোছা মার্চেন্ট কিউআর কোড অভিযুক্ত কীভাবে পেল, তা তাকে জেরা করে জানতে চাইছে পুলিশ। পাশাপাশি সব্যসাচীর কাছ থেকে ভুয়ো তথ্য দিয়ে অ্যাক্টিভেট করা প্রায় ৩ হাজার সিমকার্ড, ভুয়ো আধার কার্ড, কম্পিউটার, পেন ড্রাইভও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।জাল আধার কার্ডে দেখা গিয়েছে, একই ব্যক্তির ছবি একাধিকবার ব্যবহার করে অনেকগুলো আধার কার্ড বানিয়েছে সব্যসাচী।বাঁকুড়ার মতো রাজ্যের প্রত্যন্ত জেলায় যেভাবে ই-‌জালিয়াতি চক্র গজিয়ে উঠেছে, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন জেলার পুলিশ প্রশাসন।

 

বন্ধ করুন