দ্বিতীয় শুনানিতে অমীমাংসিত থেকে গেল অমর্ত্য সেন জমি বিতর্ক। বোলপুর ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরে (বিএলআরও অফিস) দু'পক্ষের আইনজীবী নিজেদের দাবি স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করলেও কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া যায়নি বুধবার। বিশ্বভারতী অমর্ত্য সেনের বাবার বিরুদ্ধে 'চালাকি করে' জমি দখলের অভিযোগ তুলেছে। বিএলআরও আধিকারিক জানিয়েছেন, শুনানিতে উঠে আসা পক্ষে-বিপক্ষের যুক্তি তিনি উচ্চপর্যায়ে জানাবেন। পরে তাঁদের সিদ্ধান্ত দু'পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী বুধবার সাংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন,'বিশ্বভারতীর কাছে লিজে জমি নেন অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন। অমর্ত্য সেন যে জমি দখল করে রেখেছেন সেই দাবি ঠিক নয়। যেহেতু অমর্ত্য সেনের বাবা মারা গিয়েছেন তাই আমরা শুধু লিজ হোল্ডারের নাম পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পর আজও তা অসীমাংসিত থেকে গেল। প্রশাসন অনর্থক জটিলতা তৈরি করছে। লিজ হোল্ডারের নাম পরিবর্তন করে দিলেই তো সমস্যা মিটে গেল। '
অন্য দিকে বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস বলেন,' অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে ১.২৫ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। উনি চালাকি করে ১.৩৮ একর জমি লিখিয়েছেন। অমর্ত্য সেন এখন মিথ্যা কথা বলে আবেদন করেছেন। বাবা জমি দখল করেছিলেন, এখন উত্তরসূরি হিসাবে উনিও জমি দখল করে বসে আছেন।'
এই জমি বিতর্কে গোড়া থেকেই বিশ্বভারতী দাবি করে আসছে অমর্ত্য সেনের বাবাকে ১.৩৮ জমি কখনওই লিজ দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছিল ১.২৫ একর জমি। বাড়তি জমি বেআইনি ভাবে দখল করে ছিলেন নোবলজয়ীর বাবা, পরবর্তী কালে অমর্ত্য সেন। এই বিতর্কে অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের কাছে থাকা বিভিন্ন জমি অমর্ত্য সেনের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নথিতে দেখা যায় ১.৩৮ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল অমর্ত্যে সেনের বাবাকে।
কিন্তু সেই নথি মানতে নারাজ বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অশোক মাহাতোও বলেন, '২০০৫ সালে যে আবেদন করেছিলেন অমর্ত্যবাবু, তার সঙ্গে থাকা কাগজপত্রে ১.২৫ একর জমির কথাই লেখা ছিল। ১.৩৮ একর জমি নয়।'