সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যাঁরা দলে ফিরতে চাইছেন, তাঁদের সবাইকে ফেরাবে না দল। এবার তৃণমূল নেত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই নাম না করে বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রবিবার কটাক্ষের সুরেই কুণাল জানান, 'ভোটের আগে যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁরা কেউ আমাদের জিজ্ঞাসা করে যাননি। এখন তাঁরা কেউ বিজেপিতে থাকতে চাইছেন না। তখন চার্টার্ড বিমানে গিয়েছিলেন। এখন টোটোয় করে ফিরতে চাইছেন।'
গত ১১ জুন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছিলেন মুকুল রায়। এরপর থেকেই রাজ্য বিজেপিতে একাধিক নেতার গলার সুর বদলাতে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বাড়িতে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর এই বিষয়ে চর্চা আরও বেশি করে শুরু হয়ে যায়।
তারইমধ্যে রবিবার কোন্নগরের নবগ্রামে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে কুণাল বলেন, ‘অনেকেই ফিরতে চাইছেন। বলছে, বিজেপি বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই আর বিজেপিতে থাকতে চান না। কিন্তু তাঁদের ফেরা না ফেরা সবটাই নির্ভর করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। দলনেত্রীর ওপর আস্থা রেখে যাঁরা লড়েছেন, তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে, এমন কোনও কাজ করবে না তৃণমূল।’
একইসঙ্গে তিনি জানান, 'বিজেপি ক্ষমতায় আসছে ভেবে হুজুকে মেতেছিলেন অনেকে। দলে দলে বিজেপিতে গিয়ে তৃণমূলের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করেন। দলের বিরুদ্ধে প্রচার করেন, প্রার্থীও হন। তাঁদের বাদ দিয়েই তৃণমূল জিতেছে। কে কাকে হোয়াটস অ্যাপ করছেন, কে কাকে চিঠি পাঠাচ্ছেন, কে কার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করছেন সবকিছুর উপর নজর রাখছে দল। সবাই বলব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখুন।'
যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, রাজীব যাতে বিজেপিতেই থাকেন, সেজন্য তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, রাজীবকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত রাজীবের অবস্থান কী হয়, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।