২০২১ সালে তৃণমূল ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফিরলে দলে ফেরানো হবে না দলত্যাগীদের। শনিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে এভাবেই দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে বিষ্ণুপুরে মিছিল করেন তিনি।
শনিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে তৃণমূলের ছাত্র সমাবেশে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যারা যেতে চাইছে, যেতে দিন। ভোটের পর দিদি যখন ফের শপথ নেবেন তখন তারা আবার লাইন দিয়ে তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করবে। তবে দিদিকে আমরা সবাই মিলে বলবো, আর যাই করো এই বেইমানগুলোকে দলে নিও না।’
বাঁকুড়া জেলা জুড়ে তৃণমূলের সংগঠনের হাল বেশ খারাপ। গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার ২টি আসনেই জিতেছে বিজেপি। নিজের এলাকায় ঢুকতে না পারলেও বিষ্ণুপুর থেকে জিতেছেন সৌমিত্র খাঁ।
এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানে সেখানে তৃণমূলের সংগঠনে আরেক দফা ভাঙন শুরু হয়েছে। শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়-সহ ১৫ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর। এই পরিস্থিতিতে শ্যামল সাঁতরাকে দলের জেলা সভাপতি করে সংগঠনের হাল ফেরানোর চেষ্টা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।