বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Three Arrest: শিলিগুড়িতে উদ্ধার হরিণের শিং ও বিরল প্রজাতির তক্ষক, পাচার বানচাল করল বনদফতর

Three Arrest: শিলিগুড়িতে উদ্ধার হরিণের শিং ও বিরল প্রজাতির তক্ষক, পাচার বানচাল করল বনদফতর

গ্রেফতার তিনজন।

বনদফতরের প্রাথমিক অনুমান, কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে হাত বদলের ছক ছিল পাচারকারীদের। এদিন ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। করোনাভাইরাসের পর থেকে চীন বেশ চাপে আছে। তাই বাইরে থেকে এভাবে জিনিস সংগ্রহ করছে। আর সেটা করতে গিয়ে একাধিক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সেদেশের ব্যবসায়ীরা।

এবার হরিণের শিং ও তক্ষক উদ্ধার করল বন দফতর। ভুটান থেকে চীনে সেগুলিকে পাচার করার আগে বন দফতরের তৎপরতায় উদ্ধার হয় হরিণের শিং এবং তক্ষক। একদিন আগেই হাতির বহুমূল্যবান দাঁত উদ্ধার করেছিল বন দফতর। আবার আজ, মঙ্গলবার বড় সাফল্য পেল বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের ডাবগ্রাম বনদফতর। বনদফতরের গোয়েন্দা বিভাগ গোপন সূত্রে খবর পায়। তার ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে গ্রেফতার করে তিনজনকে।

এদিকে এই হরিণের শিং এবং তক্ষক চীনে পাচার করার ছক কষা হয়েছিল। সেখানে এগুলি পাচার করে বড় টাকা আয় করার ছক কষা হয়েছিল। যা সঠিক সময়ে জানতে পেরে যায় বন দফতর। আর তারপর অপারেশনে নামা হয়। শরীরের মধ্যে লুকিয়ে হরিণের শিং ও একটি ব্যাগে করে বিরল প্রজাতির তক্ষক নেপালকে ভায়া করে চীনে পাচারের ছক কষেছিল তিন পাচারকারী। তার আগে শিলিগুড়ির নৌকাঘাট মোড় একটি বাস থামে। সেখানে এই তিনজনকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আটক করা হয়। তারপর তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় সবকিছু।

অন্যদিকে বন দফতর জানতে পেরেছে এটা একটা বড় চক্র। কারণ হরিণের এই শিং ও তক্ষক আনা হয়েছিল ভুটান থেকে। সেটা নেপালকে ভায়া করে চীনে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়। চীনের কয়েকজন ব্যবসায়ী এই চক্রটির সঙ্গে জড়িত। যা কেউ জানে না। যারা ধরা পড়েছে তারাও জানে না চীনের ব্যবসায়ীরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত। তাই তারা টাকার লোভেই এই কাজ করছিল বলে সূত্রের খবর। আটক করে তল্লাশি চালালে শরীরের জামাকাপড়ের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির তক্ষক ও হরিণের শিং।

বন দফতর সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। ধৃতরা তিনজনের মধ্যে দু’‌জন কোচবিহার এবং একজন আলিপুরদূয়ার জেলার বাসিন্দা। যাদের নাম আজিবুল হক, সৌভিক দাম এবং বিষ্ণু বর্মণ। বনদফতরের প্রাথমিক অনুমান, কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে হাত বদলের ছক ছিল পাচারকারীদের। এদিন ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। করোনাভাইরাসের পর থেকে চীন বেশ চাপে আছে। তাই বাইরে থেকে এভাবে জিনিস সংগ্রহ করছে। আর সেটা করতে গিয়ে একাধিক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সেদেশের ব্যবসায়ীরা। জিনিস সংগ্রহ করে সেখানে চড়া মূল্যে বিক্রি করে মুনাফা করে ব্যবসায়ীরা।

বন্ধ করুন