সুন্দরবনে বনকর্মী খুনের ঘটনায় তিনজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করেছে কোস্টাল থানার পুলিশ। নৌকা সহ তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ৬ দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশে দিয়েছে আদালত।
রাতে টহল দিতে গিয়ে চোরাশিকারিদের হাতে খুন হন বনকর্মী অমলেন্দু হালদার। তার পর থেকে তল্লাশি শুরু করে কোস্টাল থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারী আধিকারিকরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে তারা ভারতে প্রবেশ করে। চোরাশিকারিদের উদ্দেশ ছিল মুধ সংগ্রহ করা এবং হরিণ শিকার।
ডিউটি থাকাকালীন এ বিষয়ে খবর পান অমলেন্দু হারদার ও তাঁর সঙ্গীরা। দ্রুত তারা চোরাশিকারিক যেখানে ছিল, সেখানে পৌঁছান। দুপক্ষের মধ্যে একপ্রস্ত সংর্ঘষও হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় চোরাশিকারিদের হামলায় মারা যান অমলেন্দু হালদার।
গত ১৮ মে এই ঘটনা হয়। সেই সময় অমলেন্দু হালদার সহ বনকর্মীরা বিদ্যা রেঞ্জের নেতিধোপানি ক্যাম্প এলাকায় জঙ্গলের বোট নিয়ে ডিউটিতে ছিলেন। চোরা শিকারিদের সঙ্গে তাঁদের গুলির লড়াইও হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে বাকি বনকর্মীরা নদীতে ঝাঁপ দেন। অমলেন্দুবাবু মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় জানা যায়। গভীর রাতে এই চোরাশিকারিদের সঙ্গে এই লড়াই চলে। পরেরদিন ১৯ তারিখ সকালে অমলেন্দু হালদারের দেহ উদ্ধার হয়। সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের হামলায় এই প্রথম কোনও বনকর্মী খুন হলেন।
বন দফতরে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয়। বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে গভীর রাতে টহল শুরু করে পুলিশ সেই সময় নৌকা সহ বাংলাদেশের চোরাশিকারিদের গ্রেফতার করে পুলিশ
আরও পড়ুন। বাংলায় চোর ধরতে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল বিহার পুলিশ, বুলেটে আহত ১
তবে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছেন। ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন। বদলে গেল হাইকোর্টের রুটিন, বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুলিশ মামলায়, চাকরি মামলায় কে?