কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে এলেনই না তিন বিধায়ক, বিজেপির অন্দরে প্রবল বিতর্ক
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 01 Aug 2021, 11:07 AM IST- তিনি এসেছিলেন সাংগঠনিক বৈঠক করে দলকে চাঙ্গা করতে। কিন্তু তিনি নিজেই নিরাশ হলেন।
সময় ঠিক শনিবার বারবেলা। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে বনগাঁ জেলা পার্টি অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। একুশের নির্বাচনে বারবার রাজ্যে এসেছিলেন তিনি। এবার এলেন নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে। কারণ পরাজিত দলকে চাঙ্গা করার জন্য। উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার ফল বেশ ভাল হয়েছে। তবে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁয় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে সিএএ চালু করা বড় ইস্যু। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে যাওয়ার পরও তা হয়নি। আজ সেই বনগাঁয় দাঁড়িয়ে আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষনা সিএএ আইন হয়েছে। একদিন তা কার্যকর হবেই। কিন্তু রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি আসেনি।
তিনি এসেছিলেন সাংগঠনিক বৈঠক করে দলকে চাঙ্গা করতে। কিন্তু তিনি নিজেই নিরাশ হলেন। কারণ সংগঠনিক বৈঠকে দেখা মেলেনি বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের। এমনকী বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলও। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা রসিকতা করে বলেছেন, ‘আজ সবাই এসেছে শুধু তুমি এলে না।’
এখন প্রশ্ন, কেন সদলবলে তাঁরা এলেন না? বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া জানান, তিনি ঘুরতে গিয়েছেন। আগেই এই পরিকল্পনা করা ছিল। বাকিদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই তিন বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, ‘অনেকের ব্যক্তিগত কাজ বা পূর্ব–পরিকল্পিত কর্মসূচি ছিল৷ যাঁরা এসেছে তাঁদেরকে নিয়েই বৈঠক হয়েছে।’ মুখে এই কথা বললেও বিষয়টি নিয়ে তিনি যে খুশি হননি এই মন্তব্যেই স্পষ্ট। তবে সূত্রের খবর, এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তাই আজকে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।