দুর্গাপুজোর পর থেকেই করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিন সোনারপুর-রাজপুর পৌর এলাকায় কার্যত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আগামী ২৮, ২৯ এবং ৩০ অক্টোবর এই তিনদিন রাজপুর-সোনারপুর এলাকায় কঠোর লকডাউন মেনে চলার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে পৌরসভা।
রাজপুর-সোনারপুর পৌর এলাকার ৩৪টি ওয়ার্ডে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১৯০। দৈনিক আক্রান্ত গড়ে ১৫ থেকে ২০। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হল।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এই তিনদিন যাবতীয় দোকানপাট, বাজার বন্ধ থাকলেও ওষুধ, রেশন, দুধ, মিষ্টি এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান খোলা থাকবে। গতকাল মহকুমা প্রশাসন, পুরসভা এবং পুলিশ আধিকারিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশাসনের মত, তিনদিন সবকিছু বন্ধ থাকলে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব হতে পারে। যেসব জায়গা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে কড়া নজরদারি চালাবে পুলিশ।
আপাতত রাজপুর-সোনারপুরের ১০টি ওয়ার্ডের ১৯টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সব জায়গায় ব্যারিকেড করে রাখা হবে। ফ্লেক্স টাঙিয়ে কনটেনমেন্ট জোনগুলি চিহ্নিত করা হবে। কোনওরকম জটলা যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে নজরদারি চালাবে পুলিশ। যানবাহন চলাচলের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও কোভিডবিধি মেনে যাত্রী তুলতে হবে বাস-অটোকে।
এদিকে কোভিড ঠেকাতে রাস্তায় নেমে তত্পরতা দেখিয়েছে সোনারপুর পুলিশ। সোনারপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাস্ক ব্যবহার না করায় অনেক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মানুষকে সচেতন করতে মাইকিংও করা হয়।