হাতে আর তিনদিন। তারপরই গোটা রাজ্য মেতে উঠবে কালীপুজো নিয়ে। আর কালীপুজোর প্রাক্কালে বিভিন্ন জায়গায় শব্দবাজি আটক করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। এবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ২০০ কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল খানাকুল থানার পুলিশ। আবার শব্দবাজির আড়ালে বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। বিস্ফোরক তৈরির ১০০ কেজি মশলা উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। আর এই অভিযানে নেমে ব্যারাকপুরের কেউটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের থেকেও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এত পরিমাণ বোমা তৈরির মশলা কোথায় পাচার করার ছক ছিল সেটা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।
কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে? এসটিএফ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বাসুদেবপুর থানায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া তিনজনের নাম নরেশ চৌধুরী–কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা, উমেশকুমার রায়– কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা এবং শঙ্কর পাল কেউটিয়ার বাসিন্দা। এদের থেকে উদ্ধার হয় ৫০ কেজি পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং ৫০ আর্সেনিক সালফেট। এগুলি বিস্ফোরক বানানোর কাজে লাগে।
উল্লেখ্য, ভাটপাড়া এলাকায় প্রায়ই বিস্ফোরণের খবর মেলে। বোমা ছোড়ার ঘটনা এখানে ঘটে থাকে। এমনকী বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এবার বিপুল বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হওয়ায় চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। কোথা থেকে এল এত মশলা? কোন উদ্দেশে এত বিস্ফোরক তৈরি করা হচ্ছিল? ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা চলছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তাও জানার চেষ্টা চলছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এসটিএফ সূত্রে খবর, শব্দবাজির মোড়কে পাচার করার ছক ছিল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। তবে কার হাতে এই বিস্ফোরক তুলে দেওয়ার কথা ছিল সেটা এখনও জেরায় স্বীকার করেনি ধৃতরা। এমনকী কোনও নাশকতার ছক ছিল বলেই এই বিস্ফোরক পাচার হচ্ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায়।