ক্যাঙারু উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এবার চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে। গাজোলডোবা ক্যানেল রোড থেকে দুটো ক্যাঙারু শুক্রবার রাতে উদ্ধার করে বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের কর্মীরা। তারপর আরও একটি ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার হয়। প্রথম দু’টি ক্যাঙারু শাবক জলপাইগুড়ির গজলডোবা থেকে উদ্ধার হয়। আর পরেরটা বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের অন্তর্গত ফাড়াবাড়ি নেপালি বস্তি এলাকা থেকে উদ্ধার হয়। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে জলপাইগুড়িতে? বন দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে টহল দিচ্ছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। তখনই দেখতে পান দুটি ক্যাঙারু শাবককে। সেগুলিকে উদ্ধার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাড়াবাড়ি নেপালি বস্তি এলাকায় আরও একটি ক্যাঙারু শাবক দেখতে পান স্থানীয়রা। সেটা দেখেই তাঁরা বন দফতরে খবর দেন। তখনই তৃতীয় শাবকটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। ক্যাঙারুগুলিকে বেঙ্গল সাফারিতে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
কেন এভাবে উদ্ধার হল ক্যাঙারু? বন দফতর মনে করছে, উদ্ধার হওয়া ক্যাঙারুগুলিকে পাচার করা হচ্ছিল। কিন্তু বনকর্মীদের টহল দেখে পালাতে গিয়ে এগুলি পড়ে যায়। গত ১২ মার্চ সীমান্ত থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক ক্যাঙারু উদ্ধার করে পুলিশ। সেটাও পাচার করার জন্যই আনা হয়েছিল। এবারও তিনটি ক্যাঙারু শাবক পাচার করার উদ্দেশ্যেই এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল।
বন দফতর খবর পেয়েছে, ক্যাঙারু পাচার এখন ভাল ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই জলপাইগুড়ি দিয়ে এই ক্যাঙারু পাচারের ছক করা হয়েছে। বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা ক্যাঙ্গারুগুলিকে উদ্ধার করলেও এই পাচারের পিছনে বড় মাথা রয়েছে বলে মনে করছেন। এই চক্রটিকে ধরার জন্য এবার পরিকল্পনা করে ফাঁদ পাতা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।