একসঙ্গে তিনজনের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছে মন্তেশ্বর। তিনজনে একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ঘরের বিছানায় মশারির ভিতরে পড়ে রয়েছে মা ও ছেলের নিথর দেহ। ঠিক পাশের ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল মামার দেহ। অর্থাৎ মহিলার ভাই। মন্তেশ্বরের খান্দরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। দিদি এবং ভাগ্নেকে খুনের পর ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম মালবিকা চক্রবর্তী (৫০)। ১৬ বছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর। ছেলে কৌশিককে নিয়েই থাকতেন। তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে। তবে বিবাহিত। ওই গ্রামেরই অন্য জায়গায় থাকেন। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ভাই উৎপল চট্টোপাধ্যায় দিদির বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন। এটা খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, রবিবার ওই মহিলার বাড়িতে পরিচারিকা আসেন। কিন্তু ডেকেও কোনও তাঁর সাড়াশব্দ মেলেনি। তখন পরিচারিকা মহিলার মেয়ে–জামাইকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তখন তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের ঝুলন্ত দেহ। পাশের ঘরটিতে তালা দেওয়া। তখন খবর দেওয়া হয় মন্তেশ্বর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে বাকিদের দেহ উদ্ধার করে।
কেন এই ঘটনা ঘটল? তাহলে কী দু’জনকে খুন করে তারপর আত্মহত্যা? নাকি বাইরে থেকে কিছু ঘটেছিল? সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ঘর থেকে ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অনুমান, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিদি এবং ভাগ্নেকে খুন করে আত্মহত্যা করেন উৎপল।