রাত পোহালেই বড়দিন। কিন্তু বাঘিনীকে এখনও বাগে আনতে পারল না বনদফতর। পুরুলিয়ায় বাঘিনী। বাঘিনী ধরার জন্য নানা টোপ দিয়েছিল বনদফতর। কিন্তু সেসব মুখে তোলেনি বাঘিনী। বরং জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ার ছাগল শিকার করে সেই বাঘিনী। অনুমান করা হচ্ছে রাইকা গ্রামীন সড়ক পার হয়ে রাহামদা গ্রাম সংলগ্ন রাইকা পাহাড়ের অন্য অংশে গিয়েছিল বাঘিনী। এদিকে সেই বাঘিনীকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বনদফতর। কিন্তু তারপরেও কাজের কাজ বিশেষ কিছু হচ্ছে না।
এদিকে প্রশ্ন উঠছে যে বাঘিনীর গলায় জিপিএস কলার লাগানো রয়েছে। তারপরেও কেন বনদফতর তাকে ধরতে পারছে না। তবে এর মাধ্যমে বাঘিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখছে বনদফতর।
তবে সূত্রের খবর, এই বাঘিনী সিমলিপাল থেকে বের হওয়ার পর টানা হেঁটে গিয়েছে। কিন্তু পুরুলিয়াতে আসার পরে সেভাবে আর বিরাট দূরে হেঁটে চলে যাচ্ছে এমনটা নয়। এমনকী টোপের কাছাকাছি যাওয়ার পরেও ফিরে আসছে বাঘিনী।
সব মিলিয়ে ১ থেকে দেড় কিমির মধ্য়ে ঘোরাফেরা করছে বাঘিনী। এর বাইরে অন্য জঙ্গলে চলে যাচ্ছে তেমনটা নয়। সেক্ষেত্রে আপাতত কিছুটা ধীরে চলো নীতিতে চলছে বনদফতর। আপাতত বাঘের গতিবিধির উপরই নজর দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে সেভাবে কোনও তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না।
তবে বনদফতরের ধারণা রাইকার জঙ্গলে বাঘিনী সম্ভবত খাবার পেয়েছে। তার পেট ভর্তি।সেকারণেই টোপ গিলছে না। বনদফতর চিন্তা করেছিল রাইকার জঙ্গলেই তাকে ধরে ফেলা যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি।
তবে জঙ্গলে চরতে যাওয়া ছাগলকে সে ধরেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সেই ছাগলের দেহ মিলেছে। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে বাঘিনীর যাতে ক্ষতি না হয় সেটাও দেখা হচ্ছে। তার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
রাইকা পাহাড় ও জঙ্গলঘেরা এলাকা, পুরুলিয়ার কেশরা, কায়রা, সাগেড়ি, লেদাশাল, চিরুগাড়ু, বারুডি সহ একাধিক জায়গার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে বনদফতর। সতর্ক করেছে পুলিশ প্রশাসনও। ওড়িশার সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে পুরুলিয়ায় এসেছে ১৫ জনের বিশেষ টিম। সেই টিম বাঘিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছে।
পুরুলিয়ার ডিএফও অঞ্জন গুহ আগেই জানিয়েছেন,' জঙ্গলে জিনাত সুস্থ রয়েছে। সাধারণ মানুষের আতঙ্কের কোনও কার নেই। জনসাধারণ এবং বাঘিনী, উভয়ের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বনদফতরের পক্ষ থেকে।' তিনি অনুরোধ করছেন, ‘দয়া করে গুজব রটাবেন না। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি ওকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার।’