সোমবার অর্থাৎ আজ থেকে সুন্দরবনে শুরু হচ্ছে বাঘ সুমারির কাজ। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরন্যে বাঘের ডেরায় বসানো হবে বিশেষ ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা ছবি থেকে বাঘ গণনা করা হবে।
বাঘের ডেরায় ক্যামেরা বসানোর জন্য ইতিমধ্যেই বন আধিকারিক ও কর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ শেষ হয়েছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ১২০ কর্মী ও আধিকারিকরা সজনেখালিতে এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁরা দশটি দলে ভাগ হয়ে নদীর খাঁড়ি দিয়ে বাঘের ডেরায় যাবেন। আজ থেকে সেখানে ক্যামেরাগুলি বসানোর কাজ শুরু করবেন।
বন দফতর সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ২৫৮৫ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকার মধ্যে থাকা বসিরহাট রেঞ্জ, সজনেখালি রেঞ্জ, ন্যাশনাল পার্ক ইস্ট ও ন্যাশনাল পার্ক ওয়েস্ট রেঞ্জে ক্যামেরা বসবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভাগীয় বনাধিকারিকের আওতাধীন মাতলা রেঞ্জের মোট ৭৩২টি পয়েন্টে ক্যামেরা বসানো হবে। প্রতিটি জায়গায় দু'টি করে মোট ১৪৬৪ টি ক্যামেরা বসানো হবে।
বাঘের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য দেশজুড়ে প্রতি চার বছর অন্তর বাঘ সুমারি হয়। ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি এই সুমারি করে। এর আগে বাঘের পায়ের ছাপ ও মল সংগ্রহ করেই বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হতো। বর্তমানে জঙ্গলে ক্যামেরা বসিয়ে সেই কাজ করা হয়। ক্যামেরায় ওঠা ছবির মাধ্যমে বাঘকে চিহ্নিত করা হয়।
২০২১-২২ সালের সুমারি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে বাঘের সংখ্যা ১০১। সে সংখ্যা কতটা বেড়েছে তা নির্ধারণ করতে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটির গাইডলাইন মেনে বন দফতর উদ্যোগ নিয়েছে সুন্দরবনে ক্যামেরা বসানোর।
বনদফত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহ ধরে চলবে ক্যামেরা বসানোর কাজ। ওয়াকিটকি, ড্রোন এবং স্পিডবোর্ডের মাধ্যমে ক্যামেরা বসানো হবে। ৩৫ দিন ধরে সেই ক্যামেরাগুলি বসানো থাকবে। ক্যামেরার সামনে বাঘ এলেই তার ছবি উঠবে। ২ জানুয়ারি বনকর্মীরা ক্যামেরাগুলি তুলে আনবেন।