একের পর এক বাঘ। কিছুদিন আগেই ওড়িশা থেকে বাঘ হাঁটতে হাঁটতে ঢুকে পড়েছিল বাংলায়। আর সেই বাঘ একেবারে চলে যায় বাঁকুড়ায়। সেই বাঘ ধরতে হিমসিম খায় বনদফতর। বার বার এই বাঘ। ভিনরাজ্য থেকে ঢুকে পড়ছে বাংলায়। এই বহিরাগত বাঘেদের জ্বালায় রাতের ঘুম উড়ছে বনদফতরের। এবার কেন বার বার ভিনরাজ্য থেকে বাঘ আসছে বাংলায় তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।
আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠক। আর আলিপুরদুয়ার মানে স্বভাবতই সেখানে বনদফতরের কাজকর্মের প্রসঙ্গ ওঠে। আর কথায় কথায় ওঠে বাঘের প্রসঙ্গ। এরপরই মমতা বলেন, বাঘ পালিয়ে আসে রোজ রোজ? খাবার দেয় না, খেতে পায় না। গ্রামগুলো ভয়ে কাঁপে।
বাঘ ধরা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাঘ ধরার সাথে সাথেই ফোন আসতে শুরু করে এখনই ফেরত পাঠাও। সে না হয় ফেরত পাঠালাম। কিন্তু তোমার বাঘকে সামলাতে পারছ না কেন?
এরপর বনদফতরের আধিকারিক বলেন, এই প্রথমবার কেন্দ্র নিজের ক্ষমতাবলে নির্দেশ দিয়েছে বাঘ রাজ্যকে ধরতে হবে। এটা শুনেই মমতা বলেন, এবার বাঘ এলে বলবে ওদের লোক পাঠিয়ে বাঘ ধরতে।
এর আগে জানুয়ারির প্রথমদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আবার একটা চলে এসেছে। তোমরা তো তোমাদের জঙ্গলের খেয়াল রাখবে। যাতে তোমাদের বাঘ আমাদের এখানে ঢুকে না পড়ে। এমনিতেই হাতির সংখ্যা আমাদের বেড়ে গিয়েছে। হাতির জন্মের হার অনেক বেশি। খাদ্য দিতেও সমস্যা। ধান খেতে ভালবাসে, চলে যাচ্ছে। রাস্তায় চলে এল। বনকর্মীদের সামলাতে হয়। ওড়িশা সরকারকে বলব, বাঘ উদ্ধার করে নিয়ে যেতে। এখন আবার যদি সেই আতঙ্ক সহ্য করতে হয়। তাহলে ছেড়ে দিন। আমরা সারাজীবন রেখে দেব।’ সেই সময় মমতা বলেছিলেন, ‘বাঘকে পাঠালে চিরকালের জন্য পাঠান। আমরা রেখে দিচ্ছি। তোমাদের নিজেদের রাখার জায়গা নেই। নিয়ে গিয়ে জলে ছেড়ে দিলে। এটা কী হচ্ছে। আমি ওড়িশা সরকারকে দোষারোপ না করে বিশেষ অনুরোধ করব। দয়া করে বনকর্মী পাঠিয়ে বাঘকে ফেরত নিয়ে যান। শুধু আমাদের দোষারোপ করবেন না। আমাদের বাসিন্দারা আর ভোগান্তি সহ্য করবে না।’
আসলে ওড়িশা থেকে আসা জিনাত যেভাবে ঘুম ছুটিয়েছিল সরকারের তেমন দুষ্টু বাঘ যদি আগামী দিনে আরও দু চারটে ঢুকে পড়ে বাংলায় তাহলেই তো কাজ একেবারে লাটে উঠবে।