আজ থেকে শুরু হচ্ছে কার্তিক পুজো। বাঁশবেড়িয়া এবং চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায় ধুমধাম করে শুরু হচ্ছে কার্তিক পুজো। ইতিমধ্যেই কার্তিক পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ হয়েছে বাঁশবেড়িয়ায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সড়ক এবং জলপথে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই আকাশে উড়বে ড্রোন। করোনাভাইরাস কেটে যাওয়ায় এখন রেকর্ড সংখ্যক দর্শকের ভিড় হবে। তাই ১৭ থেকে ২০ নভেম্বর মানুষের ভিড়ের স্রোত বাঁশবেড়িয়ায় আছড়ে পড়বে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
ঠিক কী বলছেন বিধায়ক? কার্তিক পুজো নিয়ে রাজ্যের বন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত কার্তিক পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন। সেখানে চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী উপস্থিত ছিলেন। এই বিষয়ে তপনবাবু বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এই পুজোয় অগণিত দর্শক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সবার জন্য নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে। ২০ তারিখ যে শোভাযাত্রা হবে সেটিও দেখার মতো। বাড়তি দর্শক সমাগমের সম্ভাবনায় আমাদের বাড়তি উদ্যোগ নিতে হয়েছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এখানে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর পেরিয়েছে বাঁশবেড়িয়া–চুঁচুড়ার কার্তিক পুজো। এখানে আলোর রোশনাই এবং বাহারি মণ্ডপে সেজে উঠেছে বাঁশবেড়িয়া শহর ও চুঁচুড়ার কয়েকটি অংশ। প্রশাসন সূত্রে খবর, জলপথের ফেরি মাধ্যম, স্থলপথে রেল এবং গাড়িতে করে শহরে মানুষ আসেন নানা জায়গা থেকে। আজ, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। গঙ্গা লাগোয়া প্রাচীন শহরের পুজো নিরাপদে করতে জলপথে নজরদারির পাশাপাশি আকাশে ড্রোনের ব্যবস্থা রাখছে পুলিশ।
কেমন হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা? পুলিশ সূত্রে খবর, এক হাজারের বেশি পুলিশ আধিকারিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। পুলিশকর্মী এবং সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। এমনকী এখানে ১২টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র রাখা হচ্ছে। এছাড়া নানা জায়গায় সিসি ক্যামেরার নজরদারিও থাকছে। এবারের শোভাযাত্রায় থাকবে বাড়তি জৌলুস থাকছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ড্রোন ওড়ানো হচ্ছে।