ভাঙন চলছিলই। এবার আরও বড় ভাঙনের সাক্ষী থাকতে হল বিজেপিকে। ভবানীপুর উপনির্বাচনে পর্যবেক্ষক হয়েছেন অর্জুন সিং। আর তাঁর গড়েই ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই ভাঙন যথেষ্ট বড় এবং তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন টিটাগড়ের নিহত বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার ঘনিষ্ঠ এক নেতা–সহ প্রায় দু’হাজার নেতা–কর্মী। এখন প্রশ্ন উঠছে, ভবানীপুর সামলাতে গিয়ে কী নিজের ঘরই সামলাতে পারলেন না অর্জুন?
উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে একটি যোগদান কর্মসূচি নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী–সহ অন্যান্যরা। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বহু বিজেপি কর্মী। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, সেখানে প্রায় ২০০০ নেতা–কর্মী তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন রাজু সাউ। যিনি নিহত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
টিটাগড় পুরসভার দুই কো–অর্ডিনেটর–সহ বেশ কয়েকজন আগেই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এবার আরও বড় ভাঙনের সাক্ষী থাকল বিজেপি। একুশের নির্বাচনে ব্যারাকপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন মনীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লা। আর রাজু সাউ ছিলেন তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট। কিন্তু এবার তিনি ছেড়ে দিলেন গেরুয়া সংস্রব। যা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।
এই বিষয়ে চন্দ্রমণি শুক্লা বলেন, ‘যেভাবে অত্যাচার হয়েছে তাতে ভয় সবাই তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েছেন। সকলেই বাঁচতে তৃণমূল কংগ্রেসে যাচ্ছেন। তবে এই দলত্যাগে বিশেষ প্রভাব পড়বে না।’ এই কথা বললেও উত্তর ২৪ পরগণা জুড়ে ভাঙন অব্যাহত। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের শুরুতে ভরসন্ধ্যায় টিটাগড়ে প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে টিটাগড় পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লাকে।