কাটমানির অভিযোগ এড়াতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে তাতেও তৃণমূলের কেষ্টবিষ্টুদের রোখা যাচ্ছে কই। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের থেকে হিস্সা আদায়ের অভিনব পদ্ধতি অবিষ্কার করে ফেলেছেন মেমারি ১ ব্লকের তৃণমূল নেতারা। পঞ্চায়েতের উন্নয়ন ফির নামে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। বিডিওর কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। প্রশ্ন উঠছে, কোথায় থামবে তৃণমূলের এই তোলাবাজি?
গত মাসেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ১ ব্লকের ১০টি গ্রামপঞ্চায়েতে প্রায় ৪,৫০০ জন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ৬০ হাজার টাকা করে। অভিযোগ, এর পর পঞ্চায়েতগুলির তরফে উপভোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানানো হয়েছে বাড়ি তৈরির শংসাপত্র পেতে পঞ্চায়েতে উন্নয়ন ফি বাবদ জমা দিতে হবে ১,০০০ টাকা। এমনিতেই সমস্ত পুঁজি খরচ করে মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করছেন হতদরিদ্র মানুষজন। তার মধ্যে আবার হাজার টাকা পঞ্চায়েতকে দিতে হবে শুনে মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।
এর মধ্যে আবার দলুইবাজার ২ নম্বর পঞ্চায়েতে লাউড স্পিকারে করে পঞ্চায়েতকে টাকা দিতে হবে বলে ঘোষণা করে যাওয়া হয়েছে। সেকথা জানতে পেরে বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মেমারি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে স্থানীয় তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, ‘কাউকে জোর করা হয়নি। তবে যারা নিয়মের বাইরে বড় বাড়ি তৈরি করছে তাদেরই শুধু টাকা দিতে বলা হয়েছে।’