কয়লা পরিবহণের বরাত কার হাতে থাকবে? কে পাবে ইসিএলের কয়লার টেন্ডার? এ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের সদস্য বিষ্ণুপদ নুনিয়ার সঙ্গে জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রূপেশ যাদবের বিবাদ দীর্ঘদিনের। আর তার জেরে এবার খুন হতে হল অন্ডালের তৃণমূলকর্মী ধরমবীর নুনিয়াকে। এমনই জানিয়েছে পুলিশ। আর এ ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে উঠে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।
বুধবার রাত ১১টা নাগাদ অন্ডালের খাস কাজোরা এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন ধরমবীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দুই সহযোগী। তাঁরা তিনজনই তৃণমূলকর্মী। তখনই বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে ধরমবীরকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আর রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অন্য দু’জনকে মারধর করে তারা। লোকজন ছুটে আসছে দেখে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছাড়ে।
সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা ওই তিনজনকে দুর্গাপুর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ধরমবীরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্য দুই তৃণমূলকর্মী আশঙ্কজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূলকর্মী বিদ্যুৎ নুনিয়া–সহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জেলা পরিষদের সদস্য বিষ্ণুপদ নুনিয়ার অনুগামীদের সঙ্গে জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রূপেশ যাদবের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত বিদ্যুৎ নুনিয়া রূপেশের অনুগামী বলে পরিচিত। আর মৃত ধরমবীর ছিলেন বিষ্ণুপদ নুনিয়ার অনুগামী। এ ঘটনায় বিষ্ণুপদ নুনিয়া নিজেই অপর গোষ্ঠী রূপেশ যাদবের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। একইসঙ্গে রাজনৈতিক কারণ নাকি ব্যক্তিগত কোনও কারণে খুন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।