'জাস্টিস' চাওয়ার মিছিলে প্রতিবাদীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে রবিবার নৈহাটিতে বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা যখন মিছিল বের করেছিলেন, তখন হামলা চালানো হয়। মহিলাদের মারধর করারও অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবাদীরা। যদিও পালটা তৃণমূল নেতার দাবি, আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের জন্য 'জাস্টিস' চেয়ে তাঁরা মিছিল করছিলেন। সেইসময় ধাক্কাধাক্কি করা হয়। মুচকে দেওয়া হয় তাঁর হাত। আর পুরো ঘটনার পিছনে সিপিআইএমের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।
স্কুলের প্রাক্তনীরা কী অভিযোগ করছেন?
একটি স্কুলের প্রাক্তনী এবং শিক্ষক শম্পা বন্দ্যোপাধ্যায় বারুই দাবি করেন, নৈহাটির বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীদের মিছিলে অনেক মানুষ ঢুকে যান। কিছুটা পথ যাওয়ার পরেই ঝামেলা-অশান্তি শুরু করেন। গায়ে হাত তোলেন। ছিঁড়ে দেওয়া হয় মাইক্রোফোনের তার। আর সেইসময় পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশের তৎপরতা থাকলে এরকম কোনও সমস্যা হত না বলে দাবি করেছেন তিনি।
‘আমরা তো একই জাস্টিসের দাবিতে লড়াই করছি'
ওই তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, তাঁরাও প্রাক্তনী। আর তাঁরাও ‘জাস্টিসের’ দাবিতে মিছিল করছিলেন। কিন্তু তাঁদের টোটো দখল করে নেওয়া হয়। মহিলাদের ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁর হাত মুচড়ে দেওয়া হয়। এমনই পরিস্থিতি হয়েছে যে এক্স-রে করাতে হবে বলেও জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।
তাঁর কথায়, ‘আমরা তো একই জাস্টিসের দাবিতে লড়াই করছি। ১৩ অগস্ট থেকে সিবিআই আছে। আজ আট তারিখ হয়ে গেল।’ সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দোষী বা দোষীদের ফাঁসি চাইছেন তিনি।
CPIM-র দিকে অভিযোগ
তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেন, যিনি আগে পরিবহণমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর মেয়ে, জামাই এবং সিপিআইএমের আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদকের নেতৃত্বে তাঁদের টোটো দখল করে নেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘আমি হাতটা বের করেছিলাম। আমি জানি না, টোটোর মধ্যে এমনভাবে হাতটা মুচকে দেওয়া হল যে খুব বাজেভাবে ফুলে গিয়েছে। ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধেছি। গিয়ে এক্স-রে করাব।’