বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদল। শুধু তাই নয়, একের পর এক নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। সুতরাং সেখানেই অন্য দল থেকে নেতা–কর্মীরা যোগ দেবেন সেটাই দস্তুর। কিন্তু দেখা গেল জোড়াফুল থেকে ২০০ কর্মী–সমর্থক সিঙ্গল ফুলে যোগ দিলেন। এটাকে বাংলার রাজনীতিতে উল্টোরথ যাত্রা বলা হচ্ছে। যা দেখা গেল চৈতন্যভূমি, নদিয়ার রানাঘাটে। তৃণমূল কংগ্রেস–সহ বিভিন্ন দল থেকে প্রায় ২০০ কর্মী–সমর্থক বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলে জানালেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে? তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন রানাঘাটে বিজেপির পক্ষ থেকে এক সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, নদিয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়–সহ অন্যান্যরা। সেখানেই প্রায় ২০০ কর্মী–সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেস–কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের আগে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এই যোগদানের বিষয়ে সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘নদিয়া শ্রী চৈতন্যদেবের মাটি। এই মাটি থেকেই, নদিয়া দক্ষিণ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের উল্টো হাঁটা শুরু হয়েছে। সারা রাজ্যে যখন দল ভেঙে কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন, তখন অন্যদিকে বিজেপিতেও যোগদান করছেন। এটা বাংলার রাজনীতিতে উল্টোরথ যাত্রার শুরু।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এখানে প্রশাসনিক সভা করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এই যোগদান গোষ্ঠীকোন্দলের ফল কিনা তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নদিয়া বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়। সেখানে এই উল্টো ছবি অস্বস্তি বাড়াবে শাসকদলের বলে মনে করা হচ্ছে।