বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁয় তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনায় একযোগে তৃণমূল কংগ্রেস ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। পুলিশকেও ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, পায়ের তলায় মাটি নেই বুঝে পেশিশক্তি প্রয়োগ করছে তৃণমূল।
শুক্রবার একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দিলীপবাবু বলেন, ‘গজমুমো ও টিএমসির নতুন জোট হয়েছে। গজমুমো পাহাড়ে তিনটে আসনে ছিল। বাকি উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা যৌথ ভাবে হিংসার মাধ্যমে বিজেপিকে রোখার চেষ্টা করছে’।
বিমল গুরুংয়ের নাম না নিলেও তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের যে জোট হয়েছে তাকে কটাক্ষ করেন দিলীপবাবু। বলেন, ‘সেখানে একজন নেতাকে বসানোর জন্য জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। একজন পাহাড়ে থাকবেন, আরেকজন ডুয়ার্সে থাকবেন। সেটেলমেন্ট হয়েছে, জাগিরদারি দেওয়া হচ্ছে। প্রচুর টাকা দেওয়া হচ্ছে। তা দিয়ে পাহাড়ে পার্টি অফিস হচ্ছে। চা বাগানে টাকা বিলি করা হচ্ছে। তাতে উৎসাহিত হয়ে কিছু লোক রাস্তায় নেমে এটা করেছে। আর পুলিশ যদি চাইত এই ধরণের ঘটনা না হোক, তাহলে তারা পারত। এটা পুলিশ, গজমুমো ও টিএমসি মিলে এটা করেছে’।
তবে এই হামলায় তিনি ভীত নন বলে জানিয়েছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘ভয়কে জয় করে এগোচ্ছি আমরা। তাতে সাধারণ মানুষকে আমরা পাশে পাচ্ছি। সেই আবহাওয়াটা তৈরি হয়েছে’।
দিলীপবাবুর দাবি, ‘আগেও হামলা হয়েছে। আমি ভয় পাইনি। আমার কর্মীরা ভয় পাননি। এটা এখন পজিটিভ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ওপর হামলা হলেই পাবলিক বলছে এটা ঠিক নয়। গণতান্ত্রিক ভাবে আটকাতে না পেরে তোমরা গায়ের জোর ব্যবহার করছো। পশ্চিমবাংলায় এটা চলবে না। মানুষ আজকে রাস্তায় বেরোতে শুরু করেছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে এই ভয়ের পরিবেশটা আর থাকবে না’।
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁয় আক্রান্ত হয় দিলীপ ঘোষের কনভয়। তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে কিছু দুষ্কৃতী। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দিলীপবাবুর কনভয়ে থাকা কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারির গাড়ি।