বির্তক কিছুতেই থামছে না মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভার ঘাসফুল শিবিরে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার বারেও প্রকাশ্য এল বড়ঞার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও যুব সভাপতি বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি এবং মানহানির এফআইআর করলেন তৃণমূল বিধায়ক। অন্য দিকে বিধায়কের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন প্রাক্তনরা আর এই নিয়েই বড়ঞায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
শাসকদলের প্রাক্তন এবং বর্তমান নেতাদের মধ্যে কে কত দুর্নীতিগ্রস্ত তা এখন প্রমাণের লড়াই চলছে বড়ঞায়। বুধবার অডিও ভাইরাল ক্লিপ, বিজেপির পরিচয়পত্র এবং বিধায়কের প্যাডে রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠানো গোপন চিঠি সবকিছু নিয়েই তোলপাড় ছিল বড়ঞার রাজনীতি। ঠিক তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুরো ঘটনায় দু’জনকে দায়ী করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। বৃহস্পতিবার বিধায়ক নিজের বাড়িতে দলীয় কর্মীদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। নিশানায় ছিলেন প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শেদ এবং বড়ঞা ব্লক যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মাহে আলম। দাবি করেন সুপার ইমপোজ করে কম্পিউটারকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিজেপিতে থাকা পরিচয় পত্র বানানো হয়েছে। বিধায়কের সই ও ষ্ট্যাম্প জাল করে একটি চিঠিও তৈরি করা হয়েছে। আর এর সবের পিছনেই রয়েছে প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি।
জীবনকৃষ্ণবাবু বলেন, ‘আমি রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশ মোতাবেক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। দু’জনের বিরুদ্ধে আগামী দিনের দল যা বলবে সেই রকমই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোর্শেদ এবং প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম জানিয়েছেন, বিপদে পড়ে নিজেকে আড়াল করার জন্য ও নিজের নাম বাঁচানোর জন্য নাটক করছে বিধায়ক।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে বিধায়কের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবো। আমাদের কাছে আরো বহু তথ্য প্রমাণ রয়েছে আমরাও প্রয়োজনে সবকিছুই প্রকাশ্যে নিয়ে আসব। আমরা বিষয়টি জেলা এবং রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তৃণমূলের বিবাদ নিয়ে বড়ঞা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আজাদ মল্লিক বলেন, ‘তৃণমূল নেতৃত্ব যে মানুষের সাথে নেই তা ফের প্রমাণিত। ওরা নিজেদের মধ্যে লুটেপুটে খাবার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত’। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রমাণ করে ওরা কত বড় ধান্দাবাজ। শাসকদলের বিধায়ক তারই দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি যুব সভাপতি বিরুদ্ধে এফআইআর করছেন। আর কত নীচে নামবে এরা’?