ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস বিতর্ক নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাড়ি দেওয়ার জন্য সরাসরি কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেছেন শুভেন্দু) তাতে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে আবাসের বাড়ি দেওয়ার জন্য টাকা চাইতে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের সুতির।
আরও পড়ুন: ‘শ্রমিকদের বদলে JCB দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে’, দিল্লি থেকেই TMC–কে আক্রমণ সুকান্তর
আবাসের জন্য কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের সুতি ২ নম্বর অঞ্চলের কাসিম নগর গ্রাম পঞ্চায়েতর ৪৯ নম্বর বুথ সভাপতি নীলিমা দাসের বিরুদ্ধে। তিনি এক উপভোক্তার বাড়িতে গিয়ে সরাসরি টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
ভিডিয়ো পোস্টে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘আসুন পরিচয় করি তোলামূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির কাটমানি আদায়কারীর সঙ্গে।ইনি হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার সুতি-২ ব্লকের কাশিমনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৯ নম্বর বুথের গাজীপুর গ্রামের বুথ সভাপতি নিলিমা দাস। তিনি গরীব মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করছেন।’
শুভেন্দুর পোস্ট করা ভিডিয়োতে তৃণমূল বুথ সভাপতিকে এক উপভোক্তার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। ভিডিয়োতে তাঁকে উপভোক্তার উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে দিন, বাকিটা আমি প্রধান, মেম্বারের সঙ্গে বুঝে নেব। আর কাউকে টাকা দিতে হবে না।’ যদিও টাকা দিতে অস্বীকার করেন উপভোক্তা। তিনি পাল্টা জানান, এটা সরকারের টাকা। এভাবে বারবার টাকা চাইলে তারা কি পাবেন? তবে বুথ সভাপতি বলেন, আর কেউ টাকা চাইতে আসবে না। কেউ আসলে যেন তাঁকে জানানো হয়। তখন পাল্টা উপভোক্তা জানান, তিনি জানাবেন। বুথ সভাপতিকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে, যে এই টাকার ভাগীদার আর কেউ নয়। আর কেউ টাকা পাবে না। এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, বুথ সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, তিনি সবে মাত্র নতুন বুথ সভাপতি হয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু টিএমসিকে ‘টাকা মারা কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। যদি তৃণমূলের কাছ থেকে এবিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।