লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়াচ্ছেন অনেক প্রার্থী। সেরকমই লোকসভার প্রচারে নেমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে ভারতের সংবিধান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল প্রার্থী। তার জেরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন, ‘ভারতবর্ষের সংবিধান নড়বড়ে।’ আর তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পালটা ‘দেশদ্রোহীতার সামিল’ বলে আক্রমণ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ সুকান্ত মজুমদারকে হাসপাতালে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন TMC বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী
কী বলেছেন অরূপ চক্রবর্তী?
শনিবার বিকেলে খাতড়ার একটি বেসরকারি লজে দলের কর্মীসভার প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে দেশের সংবিধান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বাঁকুড়া লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘এটা পঞ্চায়েত বা বিধানসভা ভোট নয়, এটা হল দিল্লির ভোট। কেন্দ্রে কে ক্ষমতায় থাকবে? ভারতবর্ষের সংবিধান কে চালাবে? এটা হল তার ভোট।’ এর পরে তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষের সংবিধান নড়বড়ে।’ এই মন্তব্যের পরে সাত দফায় ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি বলেন প্রধানমন্ত্রী, অথচ একদফায় ভোট করানোর মুরোদ নেই। এখন ৫৬ ইঞ্চি থেকে ৩৩ ইঞ্চিতে নেমে গিয়েছে।’
এখানেই তিনি থেমে না থেকে পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে থাকেন অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো ৫৬ ইঞ্চি ছাতি বলে দাবি করেন। তাহলে এক দফায় ভোট করতে পারলেন না কেন? ৭ দফায় ভোট তো আগের সরকারও করত। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ১ দিনের ভোট করানোর হিম্মত নেই। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি ব্যার্থ।’
অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তীব্র নিন্দা করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী ডঃ সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, ‘এই মন্তব্য করা মানে দেশের সংবিধানের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা যা দেশদ্রোহীতার সামিল।’ সংবিধান নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য তিনি এলাকার মানুষের কাছে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ করেন । পাশাপাশি একাধিক একাধিক দফায় ভোট করা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের সন্ত্রাসকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালির মতো অনেক শাহজাহান সারা রাজ্য জুড়ে আছে। এই মন্তব্য করা জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এটা অত্যন্ত অন্যায়।’