তৃণমূল কংগ্রেসের তিনি প্রার্থী। তাও আবার লোকসভা কেন্দ্রের। আসানসোল উপনির্বাচনে তাঁকে হুডখোলা জিপে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু এই গোটা প্রক্রিয়াটি হতে চলেছে তা আগাম টের পাননি তিনি। যখন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় চেয়ারম্যান যশবন্ত সিনহা ফোনে জানালেন তখন তিনি নিজেই ‘খামোশ’ হয়ে গিয়েছিলেন। নিজে মুখেই সেই কথা জানালেন আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা।
ঠিক কী বলেছেন শত্রুঘ্ন? উপনির্বাচনের প্রচারের ফাঁকে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে তা আগে জানতাম না। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যশবন্ত সিন্হার কাছ থেকে জানতে পারি বিষয়টি। তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। আর তাঁর ফোন পাওয়ার পর এক মুহূর্ত দেরি করিনি। কারণ এখন গোটা দেশে একমাত্র লড়াকু নেত্রী মমতাই। তাই তাঁর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই আমি লড়ছি।’
কিন্তু তিনি বিজেপি ছাড়লেন কেন? এই প্রশ্ন উঠতেই শত্রুঘ্ন সিনহার সটান জবাব, ‘নোটবন্দি–সহ বিভিন্ন কারণে দলের সঙ্গে আমার মতবিরোধ চলছিল। আর এখনকার বিজেপি অটলবিহারী বাজপেয়ীর দল নয়। এটা এক–দু’জনের দল। মানুষকে বিপদে ফেলছে। গ্যাস থেকে পেট্রপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই, সরে এসেছি।’
কিন্তু বিরোধীরা তো আপনাকে বহিরাগত বলছে? উত্তরে বলিউড সুপারস্টার প্রার্থী বলেন, ‘অনেক বাংলা সিনেমা করেছি। বাংলার খাবার ভীষণ পছন্দ করি। বাংলার হয়ে কিছু কাজ করতে চাই। বাংলাকে খুব ভালবাসি।’ এভাবেই তিনি জবাব দিয়েছেন বহিরাগত তকমার। তাঁর সভা–সমাবেশে ভিড় উপচে পড়ছে। আর আগামী ১২ এপ্রিল এখানে নির্বাচন। আর ১৬ এপ্রিল বোঝা যাবে তিনি বহিরাগত কিনা।