লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জিতলেন দিনহাটার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ। মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে গেরুয়া শিবির এথানে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। এখান থেকেই একুশের নির্বাচনে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। এখন তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। আর তাঁর গড়েই ফের জয়ের টিকা পরলেন কমল গুহের ছেলে উদয়ন গুহ। এখানে ১৯ রাউন্ড গণনা শেষে ফলাফল দাঁড়ায়—তৃণমূল কংগ্রেস–১৮৯৫৭৫। বিজেপি–২৫৪৮৬ এবং বামফ্রন্ট–৬২৯০।
আজ উপনির্বাচনের ডার্বি ম্যাচের ট্রেন্ড বলে দিয়েছিল ফলাফল হবে ৪–০। সেদিকেই এগোচ্ছে ফলাফল। কারণ প্রতিটি কেন্দ্রেই এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। এমনকী দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিকের কেন্দ্রে হেরেছে বিজেপি। এখানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ফের এলাকার মানুষজন পেয়ে গেলেন দীর্ঘদিনের নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই চার কেন্দ্রের প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিয়েছেন।
আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে সংযত থাকতে বলেছেন। এখান থেকে জিতে বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদকে ধরেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। ঠিক এই ফ্যাক্টরই কাজ করল উদয়নকে জিতিয়ে দিতে। আবার এখন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। তাই মানুষ আর ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নেননি। সরকারি প্রকল্প এখানে নীচুস্তর পর্যন্ত পৌঁছেছে। তাই প্রচারে উদয়নকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এবার যদি তৃণমূল কংগ্রেস না জেতে তাহলে আপনাদের পঞ্চায়েতি শেষ হয়ে যাবে।
আর জয়ের পর তিনি বলেন, ‘এখানে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেওয়া গিয়েছে। ওরা ভেবেছিল সব ওদের কথায় হবে। এখানে প্রমাণ হযে গিয়েছে নিশীথ প্রামাণিক কাগুজে বাঘ। যেভাবে দলের নেতা–কর্মীরা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নির্বাচনকে নিয়ে খেটেছেন এটা তারই ফল। এখানে ভগবান তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেটাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পেরেছি। কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে তাঁর নাম আর কেউ নেবে না। সেই ব্যবস্থা আজ তৈরি হয়ে গিয়েছে।’