আবার কী কপালে ভাঁজ ফেলছে করোনাভাইরাস? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যে। কারণ স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৬ জন৷ একদিনে রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে গেল৷ এমনকী রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে।
ঠিক কী ঘটেছে রাজ্যে? করোনাভাইরাস বাড়তে শুরু করেছে বাংলায়। মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভাইরাস। তার মধ্যেই দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পরেশ রাম দাস৷ রবিবার শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যান৷ চিকিৎসকের পরামর্শে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতেই ফল পজিটিভ আসে৷ হোম আইসোলেশনে আছেন ওই বিধায়ক৷
ঠিক কী বলছেন চিকিৎসকরা? এই করোনাভাইরাসের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় চিকিৎসকরা বলছেন, টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন অধিকাংশ মানুষ৷ অনেকেই পেয়েছেন বুস্টার ডোজ৷ তবে আবার এটা না নেওয়ার অনীহা দেখা দিয়েছে প্রচুর। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসতেই মানুষ আর গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব শিকেয় তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আবার বাড়তে শুরু করেছে এই মারণ ভাইরাস।
কী নির্দেশ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর? করোনাভাইরাস বাড়তে শুরু করতেই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর এবং রাজ্য প্রশাসনও৷ মাস্ক পরা–সহ ন্যূনতম স্বাস্থ্য বিধিগুলি মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করা হচ্ছে৷ কোথাও আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে কি না, সেদিকেও নজর রাখতে বলা হচ্ছে৷ জোর দেওয়া হয়েছে টিকাকরণেও৷